নিজস্ব প্রতিবেদক
গতকাল দৈনিক কল্যাণে প্রধান শিরোনামে প্রকাশিত ‘যশোর পাসপোর্ট অফিসে প্রতি সোমবার ঈদ আনন্দ’ প্রতিবেদনটি ছিল ব্যাপক আলোচনায়। পাসপোর্ট অফিসে বিভিন্ন সময় দুর্ভোগে পড়া ভুক্তভোগীরা প্রতিবেদনটি করায় পত্রিকা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কেউ ফোন করে; কেউ অফিসে এসে তথ্যবহুল প্রতিবেদনের প্রশংসা করেন। অনেকেই নিউজটা ওয়েবপেজ থেকে নামিয়ে ফেসবুকে শেয়ার করেন। যা পরবর্তীতে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা, দালাল ও ‘বিশেষ সুবিধাভোগীরা রুষ্ট হয়েছেন।
এফএস হাসান নামে একজন ফেসবুকে মন্তব্য করেন, নিজের পাসপোর্ট নিজে করতে গেলে হয়রানি হতে হয় কাউন্টার থেকে। কিন্তু দরবেশ ধরলে মুহূর্তেই সমাধান। আলমঙ্গীর হাওলাদার বাবু নামে একজন লেখেন, আমার বাসা পাসপোর্ট অফিসের পাশে। এখানে ঘুষ নেওয়া কিভাবে তা আমার জানা। ফর্মে সংকেত দেওয়া থাকলে সেই ফাইলটা জমা হবে। এবং সংকেত না থাকলে জমা হবে না। এটা হচ্ছে ঘুষ নেওয়া সিস্টেম দালাল চক্রের।
আসাদুর রহমান আসাদ লেখেন, চরম বাস্তবতাকে তুলে ধরার জন্য দৈনিক কল্যাণকে ধন্যবাদ জানাই। দ্রুত সময়ের মধ্যে দোষীদের আইনের আওতায় এনে সঠিক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। সর্বপরি যশোর পাসপোর্ট অফিসের লাগামহীন জনদুর্ভোগের অবসান ঘটানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।
এদিকে, বস্তুনিষ্ট রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ায় নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। গোয়েন্দা বিভাগও এই রিপোর্ট আমলে নিয়ে কাজ শুরু করেছেন। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে দিয়েছেন প্রশাসনের একটি বিভাগ।
অন্যদিকে, গতকাল সংবাদ প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা। অন্যদিনের মতো গতকাল জনভোগান্তি ছিল না। কর্মকর্তারা অধনস্তদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দিয়েছেন। সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।