নিজস্ব প্রতিবেদক :
নিজ দফতরে কাজ করছিলেন অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন। স্ত্রীর দাবিতে তার দফতরে বুধবার হাজির হন চল্লিশোর্ধ্ব এক নারী। তিনি জানান, ১৯৯৮ সালের ১০ মে ফারুকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় তার। যার রেজিস্ট্রি কাবিনও তার কাছে আছে। তবে অধ্যক্ষের দাবি, ‘অভিযোগ দেওয়া নারী হয়তো লোভে পড়ে আমাকে স্বামী হিসেবে দাবি করছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে নড়াইলের লক্ষ্মীপাশা মহিলা ডিগ্রি কলেজে। স্ত্রীর দাবি করা নারীর বাড়ি খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায়। ওই নারী বলেন, অধ্যক্ষ ফারুক আমাদের বাড়িতে লজিং থেকে বিএল কলেজে লেখাপড়া করতেন। একপর্যায়ে ১৯৯৮ সালের ১০ মে ফারুকের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমাদের বিয়ে হয়। যার রেজিস্ট্রি কাবিনও আমার কাছে আছে।
তিনি আরো বলেন, ফারুক তার বাড়িতে পরে নিয়ে যাবেন বলে আমার বাবার বাড়িতেই সংসার করেন। তিনি নিয়মিত যাতায়াত করতেন। আমার মা ও ভাইয়ের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধাও নিয়েছেন। একপর্যায়ে আমার মা মারা গেলে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন ফারুক। অনেক পরে জানতে পেরেছি তিনি আরেকটি বিয়ে করেছেন। তাই স্ত্রীর দাবিতে তার কলেজে এসেছি।
অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন বলেন, ওই বাড়িতে ১৯৮৩ সালে লজিং থাকতাম। সে সময় ওই নারী তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। পরবর্তীতে আমি পড়াশোনা শেষ করে আমার বাড়িতে চলে আসি। পরে শিক্ষকতা পেশায় যোগ দেই। ১৯৯১ সালে অভিভাবকদের মাধ্যমে যে মেয়েকে বিয়ে করি, তিনি বর্তমানে সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করছেন।
তবে তিনি দাবি করে বলেন, অভিযোগ দেওয়া ওই নারী হয়তো লোভে পড়ে আমাকে স্বামী দাবি করছেন। আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করতেই তিনি অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছেন।