নিজস্ব প্রতিবেদক: নানা কর্মসূচি পালনের মধ্যে দিয়ে যশোরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদ্যাপন করেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন। যার মধ্যে ছিলো র্যালি, আলোচনা অনুষ্ঠান ও জয়িতা সংবর্ধনা।
দিবসটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় সিসিটিএস অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা জয়িতাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়। এটির আয়োজক জেলা প্রশাসন, মহিলা বিষয়ক অধিদফতর, রাইটস যশোর, ঢাকা আহছানিয়া মিশন ও আরআরএফসহ অন্যান্য বেসরকারি সংস্থা।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাঁচতে শেখার নির্বাহী পরিচালক এঞ্জেলা গোমেজ, জয়তী সোসাইটির পরিচালক অর্চনা বিশ^াস, নড়াইল সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক আনিছুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান, রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক, টিআইবির সহসভাপতি নওশাদ বানু, সফল জয়িতা নাসরিন আক্তার, জেবুন্নেছা খানম, ফাতেমা জোহরা প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ১০ শ্রেষ্ঠ জয়িতাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। জেলা পর্যায়ে সংবর্ধনা প্রাপ্ত জয়িতারা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী সালমা ইসলাম, শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী ফারহানা হক, সফল জননী নারী জ্যোতিকা রাণী বিশ^াস, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী শিউলি বেগম ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ফাতেমা জোহরা।
উপজেলা পর্যায়ে সংবর্ধনাপ্রাপ্ত জয়িতারা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী সালমা ইসলাম, শিক্ষা ও চাকুরির ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী নাসরীন আক্তার, সফল জননী জেবুন্নেছা খানম, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা নারী সাবিনা ইয়াসমিন, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখা নারী ফাতেমা জোহরা।
এর আগে সকাল ১০টায় কালেক্টরেট চত্বর থেকে র্যালি বের করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করে যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান। এ সময় মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের কর্মকর্তা ও জয়িতারা উপস্থিত ছিলেন।
আন্তর্জাতিক নারী তিবস উপলক্ষে শহরের দড়াটানায় র্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেছে জনউদ্যোগ যশোর। ফেস্টুন বেলুন উড়িয়ে র্যালির উদ্বোধন করের যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার। উপস্থিত ছিলেন দৈনিক সংবাদের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রুকুনউদ্দৌলাহ ও আইইডি যশোরে ব্যবস্থাপক বিথীকা সরকার।
এদিন দিবসটি উপলক্ষে যশোর পৌরসভা থেকে র্যালি বের করা হয়। র্যালির উদ্বোধন করেন পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু, কাউন্সিলর রোকেয়া পারভীন ডিল, নাসিমা আক্তার জলি, রাশেদ আব্বাস রাজসহ কর্মকর্তাবৃন্দ।
দিবসটি উদ্যাপন উলক্ষে যশোর শহরের টাউন হল ময়দানে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠনটি। অনুষ্ঠানে নাচ, গান, আবৃত্তির পাশাপাশি একটি নাটক মঞ্চায়িত হয়। আলোচনা পর্বে শেকড়ের সাধারণ সম্পাদক রওশন আরা রাসুর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, মা শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার ডা. ইয়াসমিন আক্তার, তালবাড়িয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. শাহানাজ পারভীন ও রবীন্দ্র সংগীত সম্মিলন পরিষদের যশোর জেলা সভাপতি শ্রাবণী সুর।
গত সোমবার বিকেল ৪টায় বাহাদুরপুর ঋষিপাড়ায় মহিলা পরিষদের আয়োজনে নারী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পাড়া কমিটির সভাপতি কাজলরেখার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হাবিবা শেফা, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক তন্দ্রা ভট্টাচার্য্য, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারদীনা রহমান এ্যানি, আন্দোলন সম্পাদক উম্মে কুলসুম আলো, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পাঠাগার সম্পাদক নাজমা পারভীন হিরন, স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুফিয়া বেগম ও পাড়া কমিটির সদস্য ফাতেমাতুজ ববি। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন লিগ্যালএইড সম্পাদক এ্যাডভোকেট কামরুন নাহার কনা।
বক্তারা বলেন, নারীদের পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। নারী-পুরুষ সকলের জন্য একই আইন চালু করতে হবে এবং টেকসই আইন চালু করতে হবে। আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই নারীর প্রতি যে সহিংসতা তা রোধ করা যাবে। সভায় উপস্থিত ছিলেন ১২০ জন। গতকাল সকালে দিবসটি উপলক্ষে শহরের মুজিব সড়কের প্রধান কার্যালয় থেকে মোটরসাইকেল র্যালি বের করে জয়তী সোসাইটি।