মেহেরপুর প্রতিনিধি
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী দাখিল মাদরাসার তিন ছাত্রী উধাও হওয়ার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ।
চাকরির প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা তাদের ঢাকায় আটকে রেখেছিল বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে রাজধানীর গাবতলী ও বিমানবন্দর এলাকা থেকে তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করে ওই তিন যুবককে আটক করে করে গাংনী থানা পুলিশের একটি দল।
আটকরা হলেন চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার সনাতনপুর গ্রামের ইমদাদুল হকের ছেলে হাসান আলী (২০), শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ফতেপুর গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে আলমগীর হোসেন (২২) ও ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরপাড়ার চানিতা চৌধুরীর ছেলে রোমন চৌধুরী (২৪)।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত ২৮ মে গাংনী উপজেলার দেবীর গ্রামের বাড়ি থেকে মাদরাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় তিন ছাত্রী।
তাদের মধ্যে একজন অষ্টম শ্রেণির এবং অপর দুজন সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী। মাদরাসায় না গিয়ে তারা উধাও হয়। পরে তাদের সন্ধান চেয়ে গাংনী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে তাদের পরিবারের সদস্যরা।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, জিডির সূত্র ধরে বামন্দী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ইসরাফিল হোসেন তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মঙ্গলবার রাতে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অপহৃত ছাত্রীদের উদ্ধার এবং অপহরণকারী দলের তিন সদস্যকে আটক করে।
ওসি আরও বলেন, চাকরির প্রলোভনে কৌশলে ওই ছাত্রীদের ঢাকায় আটকে রেখেছিল আটক যুবকরা। ছাত্রীদের পরিবারের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে তিন ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা এবং আটকদের আদালতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: মেহেরপুরের নিখোঁজ হওয়া ৩ মাদরাসাছাত্রী মিলল ঢাকায়, আটক ৩

 
									 
					