নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলনে মনিরামপুর উপজেলার ছাত্রলীগের ১৯ টি ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদত্যাগ করেছে বলে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি মিথ্যা ও বানোয়াট। প্রকৃত সত্য হলো সেখানে ১৯টি ইউনিটের কোন নেতাকর্মীই ছিল না। একই সাথে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্যর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনের এসব দাবি করা হয়েছে। মনিরামপুর উপজেলায় নব গঠিত ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নব গঠিত ছাত্রলীগের সদর ইউনিয়ানের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান।
বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় দুই যুগের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মনিরামপুর উপজেলায় ছাত্রলীগের একটি তরুন মেধাবী ও সৃজনশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে ৫ (পাঁচ) সদস্যের একটি আংশিক কমিটি উপহার দেয় যশোর জেলা ছাত্রলীগ। এই পরিচ্ছন্ন নেতৃত্বের মাধ্যমে মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের দীর্ঘ দিনের অচলাবস্থা দূর হয়ে ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের মনে নতুন প্রাণের সঞ্চার ঘটে এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও ছাত্রলীগের সকল নেতা-কর্মী এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের সকল শ্রেণি পেশার মানুষ এই স্বচ্ছ পরিচ্ছন্ন কমিটিকে স্বাগত জানাই।
কিন্তু কিছু অছাত্র, বিবাহিত, মাদকাসক্ত ও বিভিন্ন অপরাধে অপরাধী এবং যারা ব্যক্তি স্বার্থে সংগঠনকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রলীগকে কুলষিত করার চেষ্টা করেছে। তারাই সু-শৃঙ্খণ কমিটিকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে।
গত ২৮ এপ্রিল যশোর জেলা ছাত্রলীগ স্থানীয় সাংসদ ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে আলোচনা করে ১৮ বছর পর মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের একটি আংশিক কমিটি অনুমোদন দেয়।
কিন্তু সংবাদ সম্মেলনে মনগড়া গল্প তৈরি মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়ে নাটক সাজায়। তাদের এই মিথ্যা নাটকের বিরুদ্ধে মণিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
যারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিল তারা বিভিন্ন সময় বিতর্কিত কর্মকান্ডের জন্য বহিষ্কৃত, বিবাহিত ও অছাত্র।
এরমধ্যে হাবিবুর রহমান দ্বীপ অসামাজিক কার্যকলাপরত অবস্থায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন, আবু সুফিয়ান আল মামুন বিবাহিত, অছাত্র ও এক সন্তানের জনক, আব্দুস সামাদ ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনে নৌকার বিরোধিতা করায় যশোর জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক বহিষ্কৃত হয়েছিলো, শ্যামল হাজরা মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দের নাম উল্লেখ করে ভূয়া স্বাক্ষর করে সাংবাদিক সম্মেলন করে।
মনিরামপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সকল নেতৃবৃন্দ এই মিথ্যা ও মনগড়া সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে আজকের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছে। এবং লেখক ভট্টাচায্যকে নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেবার প্রতিবাদ করছে।
যশোর জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি সালাউদ্দিন কবির গিয়াস ও সাধারণ সম্পাদক তানজীব নওশাদ পল্লবকে সময়োপযোগী, স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন একটি সুন্দর কমিটির মাধ্যমে মনিরামপুরের ছাত্রসমাজ তথা ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীর প্রাণের দাবি পূরণ করার জন্য। ধন্যবাদ জানানো হয়।