নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের বিশিষ্ট সাত ব্যক্তিকে সম্মানহানি করার অভিযোগে এক কোটি টাকা মানহানির মামলা করা হয়েছে। যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোডের মৃত অনিল কুমার চক্রবর্তীর ছেলে অখিল কুমার চক্রবর্তী আদালতে মামলাটি করেছেন। মামলায় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে আসামি করা হয়েছে। বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া গতকাল মামলাটি আমলে নিয়ে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদেশ দিয়েছেন ।
আসামি দিপংকর দাস রতন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও বেজপাড়া নলডাঙ্গা রোডের তারা পদ দাসের ছেলে এবং অপর আসামি তপন কুমার ঘোষ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও খালধার রোড বারান্দীপাড়ার ফকির চন্দ্র ঘোষের ছেলে।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের ৯ অক্টোবর দুপুর ১২টার দিকে প্রয়োজনীয় কাজ শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বের হন। এসময় জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দিপংকর দাস রতন ও সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ একটি কাগজ অখিল কুমার চক্রবর্তীর হাতে দেন। পড়ে দেখেন তার বিরুদ্ধে (অখিল কুমার চক্রবর্তী) সহ সাতজনের নামে জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া একটি অভিযোগ। ওই অভিযোগে লেখা ছিল শারদ উৎসবে সম্ভাব্য বিঘœ সৃষ্টিকারী হিসেবে অখিল কুমার চক্রবর্তীসহ সাতজন। তাদের নাম উল্লেখ করে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
কিন্তু ওই সাতজনই গুণী মানুষ। অখিল কুমার চক্রবর্তী ঝিনাইদহের সরকারি মাহতাব উদ্দিন ডিগ্র কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। একই সাথে তিনি যশোরের জোড়া শিব মন্দিরের সেবায়েত ও সভাপতি এবং ‘বৈষম্য বিরোধী সনাতন সমাজ’ নামক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য সচিব। এছাড়া মৃনাল কুমার দে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার ও হরিসভা মন্দিরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বিশিষ্ট মানবাধিকার সংগঠক হিসাবে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক, দীপক কুমার রায় যশোর সদর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত উপজেলা সমবায় অফিসার, সনৎ সাহা যশোরের সাহা ব্রিকস’র সত্ত্বাধিকারী ও নীলগাঞ্জ মহাশ্মশানের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, গোপীকান্ত সরকার যশোরের সরকারি শহীদ সিরাজুদ্দিন হোসেন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের যশোর জেলা সহ-সভাপতি, অসীম কুন্ডু যশোর বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের যশোর জেলা শাখার সাবেক সভাপতি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অভিযোগ করে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সাতজনের সম্মান ও মানহানি করেছেন; যা এক কোটি টাকার সমান ক্ষতি।
