নিজস্ব প্রতিবেদক
চলতি আমন মৌসুমে কারেন্ট পোকার আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিতে ২৭ নভেম্বর বেলা সাড়ে ১১ টায় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ যশোরের উপ-পরিচালকের নিকট ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা স্মারকলিপি প্রদান করে। জাতীয় কৃষক-খেতমজুর সমিতি যশোর জেলা কমিটির উদ্যোগে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির জেলা কার্যালয় থেকে মিছিল সহকারে উপ পরিচালকের রেল রোডের কার্যালয়ে যেয়ে স্মারকলিপি প্রদাণ করেন কৃষক নেতৃবৃন্দ ও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা। এ সময় এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির কেন্দ্রীয় সহ সধারণ সম্পাদক জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কৃষক নেতা জিল্লুর রহমান ভিটু, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষক নেতা কৃষক নেতা তসলিম উর রহমান, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষক বিপুল বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন জেলার সহ সভাপতি কৃষক মিজানুর রহমান, জেলা নেতা পলাশ বিশ্বাস, সিরাজুল ইসলাম, সাহবুদ্দিন বাটুল, পিল্টু, আজাহার হোসেন লুলু প্রমুখ।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সারা দেশের মত আমাদের জেলায়ও কারেন্ট পোকার আক্রমণে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। যার পরিমাণ ৪০% মত। পোকার আক্রমণের হাত থেকে ফসল বাঁচাতে আধা পাকা ধান কাটতে বাধ্য হয়েছে কৃষক। তাতে সুফল পাওয়া যায়নি তেমন। এবার অনাবৃষ্টির কারনে কৃষকের সেচ খরচও বৃদ্ধি পেয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ ব্লক ভাগ করে সুপারভাইজার নিয়োগ করেছে। তাদের কাজ কৃষককে চাষ পদ্ধতি, সার কীটনাশক ব্যবহার শেখানো। ফসল আক্রান্ত হলে তার উপশমের উপায় বাতলে দেওয়া। দুঃখের বিষয় ব্লক সুপারভাইজারদের ব্লক এলাকায় থাকার কথা থাকলেও অধিকাংশ ই ব্লকে থাকেন না। সে কারণে কৃষক সঠিক পরামর্শ পায়নি। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের ক্ষতিপূরণ না দিলে তারা বোরো মৌসুমে ফসল চাষের পুঁজি সংকটে পরবে। কৃষি কাজে উৎসাহ হারাবে। ফলে দেশ ও জাতি খাদ্য সংকটে পরবে। তাই ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপ পরিচালক স্মারকলিপি গ্রহণ করে কৃষকদের আশ^স্ত করে বলেন, কৃষকরা যাতে ক্ষতিপূরণ পায় সেজন্য তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন। এবং দায়িত্বে অবহেলার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবেন।