নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের বাঘারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের কোষাধ্যক্ষ নিছার আলী গত ১২ মার্চ নড়াইল সিআইডি পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেছেন। প্রতিষ্ঠানের স্কুল শাখার প্রধান শিক্ষক মাহমুদ হাসান পুলিশের সাথে যোগসাজস করে বিনা কারণে তাকে আটক করিয়েছেন। বৃহস্পতিবার প্রেসক্লাব যশোরে সংবাদ সম্মেলনে নিছার আলী এ দাবি করেছেন। অবশ্য পুলিশ বলছে, একটি প্রতারণা মামলার কারণে তিনি নিজে সিআইডি অফিসে এসেছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে নিছার আলী বলেন, মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের অনুমোদন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়ার পর কার্যক্রম শুরু করা হয়। মোট ১৯ জন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করা হয়। কলেজের নতুন ভবন করার জন্য রশিদের মাধ্যমে শিক্ষক কর্মচারীদের কাছ থেকে অনুদানের টাকা গ্রহণ করা হয়। এক পর্যায়ে ভবন নির্মাণ শেষে হলে আয় ব্যয়ের হিসাব দিতে বলা হলে প্রধান শিক্ষক মাহমুদ হাসান চাকরি করবেন না বলে জানান। হঠাৎ গত ১২ মার্চ নড়াইল জেলার সিআইডি পুলিশের এএসআই আশরাফ আলী আমার বাঘারপাড়ার ধলগ্রামের বাড়িতে এসে ধরে নিয়ে যান। পরে আমার সাথে খারাপ আচারণ করা হয়। কলেজের প্রধান শিক্ষকের যোগসাজসে পুলিশ আমাকে ধরে নিয়ে যায়।
এব্যাপারে নড়াইল সিআইডি পুলিশের এএসআই আশরাফ আলী জানান, নড়াইল জেলা সদরের নড়াইল গ্রামের মাহমুদ হাসান নড়াইল আদালতে প্রতারণা মামলা করেন নিছার আলীসহ তার স্ত্রী ও মেয়ের নামে। সেটি জানার পর তিনি নিজে এসে আমাদের অফিসে যোগাযোগ করেছেন। আমরা তাকে টাকা নিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে বলেছি।
বাঘারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক মাহমুদ হাসান জানান, কলেজটি এখনও কোন অনুমোদন পায়নি। আমাকে চাকরি দেওয়ার জন্য কলেজের কোষাধ্যক্ষ নিছার আলী ৪ লাখ ৮৬ হাজার টাকা নিয়েছেন। কিন্তু তাকে টাকা দিতে বললে তালবাহানা করেন। বিষয়টি নিয়ে আমি নড়াইল আদালতে প্রতারণা মামলা করেছি। এখন তিনি মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ করছেন।