নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ৫০ হাজার টাকার স্মারক চেক খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেনের মাধ্যমে তুলে দেয়া হয়েছে সেই অদম্য মেধাবী তামান্নার হাতে। বুধবার রাতে যশোর সার্কিট হাউজে তার হাতে এ স্মারক চেক তুলে দেয়া হয়। অবশ্য দুই মাস আগেই ওই টাকা তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যোগ হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার রাতে যশোর সার্কিট হাউজে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ঝিকরগাছার মেধাবী ছাত্রী তামান্না নূরাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন তামান্না নূরার পিতা রওশন আলীর হাতে ৫০ হাজার টাকার একটি স্মারক চেক তুলে দেন।
খুলনা বিভাগীয় কমিশনার ইসমাইল হোসেন পদোন্নতি পেয়ে খাদ্য মন্ত্রলায়ের সচিব পদে পদায়ন লাভ করেছেন। এ উপলক্ষে যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের জরুরি তহবিল হতে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের আপাতকালীন চিকিৎসা বাবদ এ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে ঝিকরগাছার মেধাবী ছাত্রী তামান্না নূরার হাতে ৫০ হাজার টাকার একটি স্মারক চেক তুলে দেয়া হয়। এ সময় যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান, ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবুল হক, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজিব হাসান, তামান্নার পিতা রওশন আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বৃহস্পতিবার সকালে তামান্না নূরের পিতা রওশন আলীর কাছে স্মারক চেক হস্তান্তরের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, এটা স্মারক চেক। চেকের টাকা একাউন্টে জমা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
প্রসঙ্গত, জন্ম থেকে দুটি হাত নেই; নেই ডান পা। শুধু বাঁ পা দিয়ে লিখে পিইসি, এসএসসি ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন তিনি তামান্না নূরা। তিনি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার বাঁকড়া আলীপুর গ্রামের রওশন আলী ও খাদিজা পারভীনের মেয়ে।