নিজস্ব প্রতিবেদক
‘ফুলবাড়ী ট্রাজেডি দিবস’ উপলক্ষে যশোরে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুর ১২টায় যশোর কেন্দ্রীয় মিনারে (এমএম কলেজ ক্যাম্পাসে) বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোরের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনকালে উপস্থিত ছিলেন- দলের কেন্দ্রীয় সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, জেলা কমিটির সম্পাদক তসলিম-উর-রহমান, সদস্য পলাশ বিশ্বাস, বিপ্লবী যুবমৈত্রী কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ আলাউদ্দিন প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদনকালে নেতৃবৃন্দ বলেন, দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে উন্মুক্ত খনন পদ্ধতিতে কয়লা উত্তোলনের বিরুদ্ধে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনে গুলি করা হয়। সেই গুলিতে তিন জনের মৃত্যুসহ দুই শতাধিক মানুষ আহত হন। আজ ১৯ বছর পার হলেও এখনও তাদের সেই ৬ দফার বাস্তবায়ন হয়নি। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে ৬ দফার বাস্তবায়ন দাবি করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের ২৬ আগস্ট তেল-গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জির ফুলবাড়ী অফিস ঘেরাও কর্মসূচি দেয়। ফুলবাড়ী, বিরামপুর, পার্বতীপুর ও নবাবগঞ্জ উপজেলার হাজার হাজার মানুষ এ কর্মসূচিতে অংশ নেন। ছোট যমুনা সেতুর পূর্ব পাশে পুলিশ ও বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) ওই মিছিলে গুলি চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র আমিনুল ইসলাম আমিন ও সালেকিন এবং বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র তরিকুল ইসলাম নিহত হন। শুরু হয় অনির্দিষ্টকালের হরতাল-অবরোধ।
প্রতি বছর দিনটিকে ‘ফুলবাড়ী ট্র্যাজেডি দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়। সেই আন্দোলনের ৬ দফার মধ্যে ছিল- এশিয়া এনার্জিকে ফুলবাড়ী ও দেশ থেকে বহিষ্কার, উন্মুক্ত পদ্ধতির কয়লাখনি ফুলবাড়ীসহ দেশের কোথাও না করা, পুলিশ-বিডিআরের গুলিতে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা, গুলি বর্ষণসহ হতাহতের প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত কমিটি গঠন, শহীদের স্মৃতিসৌধ নির্মাণসহ এশিয়া এনার্জির দালালদের গ্রেফতারসহ শাস্তি প্রদান, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে করা সব মামলা প্রত্যাহার এবং নতুন করে মামলা না করা।