নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরতলীর হামিদপুরে বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) নির্মাণে ৫ একর জমি অধিগ্রহণে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে চেক বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন।
জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ক্ষতিগ্রস্তদের চেক প্রাপ্তি মানেই হয়রানি, দীর্ঘসূত্রিতা, অনিয়ম, টাকা-পয়সার লেনদেন এমন ঘটনা হরহামেশাই শোনা যায়। তবে যশোরের জেলা প্রশাসক নিজে এবং তার অধীনস্থদের দুর্নীতি মুক্ত রেখে হামিদপুরে বিটাক যশোর কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিগ্রস্থ ১৩ জন জমির মালিকের মাঝে সোমবার সকালে এই চেক হস্তান্তর করেন।
চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যশোর জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার, বিটাক খুলনা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক এম. মোর্শেদ আলম প্রমুখ।
জেলা প্রশাসক জানান, শিল্প খাতে প্রশিক্ষিত জনবলের কর্মসংস্থান ও আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণে সরকার বদ্ধপরিকর। এজন্য যশোরসহ ছয়টি জেলার আশপাশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুব-নারী ও পুরুষ প্রশিক্ষণার্থীদের সহজে আধুনিক সুবিধাসংবলিত কারিগরি প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে উৎপাদনমুখী ও প্রক্রিয়াজাত শিল্পে অভিজ্ঞ জনবল তৈরিসহ স্থানীয় শিল্পগুলো আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদনে আরো বেশি দক্ষ জনবল তৈরি সম্ভব হবে। এ লক্ষ্যে শিল্পসমৃদ্ধ জেলা যশোরে বিটাকের কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। শহরতলির হামিদপুরে ১০ তলা ফ্লোর বিশিষ্ট একটি পুরুষ ও একটি নারী হোস্টেল ভবন, পাঁচতলা ফ্লোরবিশিষ্ট একটি অফিস ভবন, চারতলা ফ্লোর বিশিষ্ট ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ, ছয় তলা ফ্লোর বিশিষ্ট একটি অটোমোবাইল ওয়ার্কশপ ও চারতলা ফ্লোরবিশিষ্ট ফাউন্ড্রি ওয়ার্কশপ ভবন নির্মাণ করা হবে।
উল্লেখ্য, গোপালগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, বরিশাল, রংপুর, জামালপুর এবং যশোর জেলায় বিটাকের ৬টি কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দেন সরকার। প্রতি ঘরে ঘরে একজন বেকারকে চাকুরি প্রদানে অঙ্গীকার বাস্তবায়নে ও শিল্প কারিগরি সহায়তা সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এ প্রকল্পটি শিল্প মন্ত্রণালয় গ্রহণ করে।