নিরঞ্জন চক্রবর্তী, নেংগুড়াহাট: যশোরের মণিরামপুর উপজেলার রাজগঞ্জ অঞ্চলে খেজুর রসের তৈরি গুড়-পাটালি এখন বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হচ্ছে। যে কারণে রাজগঞ্জের বিভিন্ন হাট-বাজারে এবার গুড়-পাটালির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।
এছাড়া বাজারে নতুন গুড়-পাটালির দাম বেশি হওয়ায় সাধারণ ক্রেতারা অনেকটা হতাশ হলেও গাছিরা রয়েছেন আনন্দে। গাছিরা গুড় ও পাটালির দাম বেশি পাওয়ায় যেমন খুশি তেমন প্রতিনিয়ত এলাকার ইটভাটাগুলোতে খেজুর গাছ পোড়ানো দেখে হতাশ।
সরজমিনে দেখা যায়, গাছিরা হাড় কাঁপানো শীতকে উপেক্ষা করে বের হচ্ছেন খেজুরের রস সংগ্রহে। এ অঞ্চলের প্রতিটি গ্রামেই এখন চলছে খেজুরের রস সংগ্রহের কাজ। সেই রস দিয়ে বাড়িতে বাড়িতে চলছে গুড় ও পাটালি বানানোর হিড়িক। খেজুরের রসের চাহিদা শুধু গ্রামেই নয়, শহরেও ব্যাপক।
চাহিদা মেটাতে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে তা বিক্রির উদ্দেশে গাছিরা ভোরবেলা রওয়ানা দিচ্ছেন শহরের দিকে। কাঁচা রসের দামসহ রসের তৈরি গুড়-পাটালির দাম বর্তমান বাজারে চড়া হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন রাজগঞ্জ এলাকার গাছিরা।
রসের তৈরি গুড় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৬ কেজি ওজনের প্রতি ছোট ভাড়ের দাম ৯শ’ থেকে ১ হাজার টাকা ও বড় ভাড়ের দাম ১৯শ’ থেকে ২ হাজার টাকা ও পাটালি প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪শ’ টাকা দরে। শীতের শুরুতেই গ্রামাঞ্চলে রস-গুড় সংগ্রহ করে বাড়িতে বাড়িতে চলছে পিঠা-পায়েস খাওয়ার ধুম।
রস পিঠা-পায়েসের পাশাপাশি গুড়-পাটালি উৎপাদন করে তা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছে গাছিরা। এলাকার গাছি হাফিজুর রহমান জানান, আমাদের কাছ থেকে উন্নতমানের গুড়-পাটালি সংগ্রহ করে বড় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দেশে নিয়ে যাচ্ছেন।