নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়। রোদ-বৃষ্টি ঠেকাতে গত কয়েক বছর দেয়া হয় ত্রিপলের ছাউনি। কিন্তু এবার পৌরসভার খামখেয়ালিপনায় ছাউনি না দেয়ায় প্রধান এ জামাতে আসা হাজারো মুসল্লি বৃষ্টিতে ভিজলেন। এতে নাগরিকদের রোষানলে পড়েন পৌরমেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার গণি খান পলাশ। মুসল্লিরা সবাই ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
যশোর পৌরসভার সাবেক মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর সময়ে ঈদগাহে জামাত অনুষ্ঠিত হয় সুন্দর ত্রিপলের ছাউনিতে। ফ্যানের বাতাসে মুসল্লিরা ঈদের জামাত আদায় করেন। এবারের ঈদের আগেই আবহাওয়া অফিস বৃষ্টির বার্তা দেয়। কিন্তু সেটি আমলে না নিয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ ঈদগাহে কোন প্রস্তুতি নেয়নি। পৌরসভার ফান্ড শূন্য বলে এড়িয়ে যায় তারা।
নামাজ পড়তে আসা শহরের ঘোপ নওয়াপাড়ার বাসিন্দা সাজেদ রহমান বলেন, মঙ্গলবার সকালে ঈদগাহে ঈদের নামাজের আগেই আকাশে মেঘ কালো হয়ে আসে। যেকারণে খুদবা পড়ার সুয়োগ পাননি ইমাম। নামাজের সালাম ফেরানোর সাথেই শুরু হয়ে যায় বৃষ্টিপাত। এতে বেকায়দায় পড়েন হাজার হাজার মুসল্লি। এক পর্যায়ে নাগরিকদের তোপের মুখ পড়েন নামাজ পড়তে আসা পৌরসভার মেয়র হায়দার গণি খান পলাশ। পরে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের হস্তাক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
বেজপাড়ার হোটেল ব্যবসাযী সাদেক আলী জানান, এবারের ঈদে বৃষ্টি হবে তা আগেই বলেছিল আবহাওয়া অফিস। কিন্তু পৌরসভা কোন প্রস্তুতি নেয়নি। হাজারো মুসল্লি বৃষ্টিতে ভিজে বাড়িতে ফিরেছে। এরকম মেয়র আর যেন আমাদের কপালে না জোটে।
যশোর পৌরসভার সচিব আজমল হোসেন জানান, ত্রিপলের ছাউনিসহ ফ্যান দিলে ২০ লাখ টাকার প্রয়োজন হয়। আমাদের ফান্ড প্রায় শূন্য। যেকারণে এবার ঈদগাহে কোন প্রস্তুতি নেয়া হয়নি।