নাভারন প্রতিনিধি
যশোরের শার্শা উপজেলার জামতলা টু বেনাপোল সড়কে মহিষাকুড় খালের উপর নির্মাণাধীন ব্রিজের পাশ দিয়ে, মাটি ও ইট দিয়ে ভরাট করে বাইপাস হিসেবে ব্যবহারের জন্য বিকল্প রাস্তাটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বিকল্প রাস্তা হিসেবে ব্যবহারের জন্য কর্তৃপক্ষ দায়সারা ভাবে রাস্তাটি তৈরি করে দেয়। দুদিন যেতে না যেতেই, রাস্তাটি ডেবে উঁচু, নিচু হয়ে অনেক জায়গাই বড়, বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তারপর এই আষাঢ় মাসে মাঝে মধ্যে বৃষ্টি হয়ে, পানি জমে হাঁটু সমান কাদা সৃষ্টি হচ্ছে। রাস্তাটি ডেবে নিচু হয়ে যাওয়ায় ও কাদার কারণে মালামাল বহনকারী ভ্যান ও বাইক ঠেলে তুলতে হছে অহরহ। এমনকি সড়কে চলাচলকারী ইজিবাইক, সিএনজি, ভ্যানসহ ছোট বড় যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যানবাহনসহ যাত্রীরা দুর্ঘটনার ও ক্ষয়ক্ষতির শিকার হচ্ছে। সড়কে দীর্ঘদিন ব্রিজটি ভেঙ্গে থাকায় মেরামতের জন্য ২ কোটি ৩০ লক্ষ ৯২ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়।
এদিকে, সড়কে চলাচলকারী অনেক যানবাহন ও যাত্রীরা জামতলা থেকে নাভারন হয়ে ২৫ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে ও অতিরিক্ত টাকা খরচ করে বেনাপোল যেতে হয়। কিন্তু জামতলা সড়ক দিয়ে বালুন্ডা হয়ে ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সহজে বেনাপোল যেতে পারেন। অনেক পথ ও খরচা কম হওয়ায় সাতক্ষীরা সড়কে যানবাহনসহ যাত্রী সাধারণ এই রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন। ব্রিজ নির্মাণের কাজ হওয়ায় ওই স্থানে যেনতেনভাবে বাইপাস করায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
ব্যবসা বাণিজ ও যোগাযোগে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। বাইক চালক মিজান বলেন, কাচা রাস্তা দিয়ে যেতেও এত কষ্ট হয় না। বেনাপোল যাওয়ার উদ্দেশ্যে সাতক্ষীরা থেকে আসা ট্রাক চালক কামাল হোসেন বলেন, জানতাম না এই সড়কে ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে। যেতে না পেরে ফিরে যাচ্ছি। সংস্কার কাজ হচ্ছে, এরূপ সতর্কমূলক কোন সিগন্যাল না থাকায় প্রতিদিনই এভাবে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভারী যানবাহন ফিরে যাচ্ছে। জনসাধারণের দাবি, ব্রিজের পাশে ভালো করে চলাচলের উপযোগী করা হোক।