নিজস্ব প্রতিবেদক: তিন হাজার ২০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুর ডাল যশোরের বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। এক হাজার ১৩৬ দশমিক ১৩ মার্কিন ডলার মূল্যে প্রতি মেট্রিক টন মসুর ডাল আমদানি করা হয়েছে। বুধবার বিকাল থেকে এসব ডাল বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করতে দেখা গেছে। এসব ডাল ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আওতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হবে। এর আগে ৪ ডিসেম্বর বেনাপোল দিয়ে টিসিবির জন্য দুই হাজার ২১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছিল।
বেনাপোল বন্দর থেকে এ ডাল খালাস নিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছেন কনফিডেন্স ট্রেড অ্যাসোসিয়েট নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট।
এ এজেন্টের মালিক আতিয়ার রহমান জানান, সরকার চার হাজার ২০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে তিন হাজার ২০০ টন ডাল বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। বাকি ১০০০ হাজার টন পর্যায়ক্রমে আসবে।
তিনি আরও জানান, মসুরের ডাল আমদানি করতে প্রতি কেজি খরচ পড়ছে ১২৫ টাকা এবং এ বন্দর থেকে দ্রুত খালাস নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টমের যুগ্ম কমিশনার সাফায়েত হোসেন বলেন, বুধবার বিকালে ভারত থেকে তিন হাজার ২০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল বন্দরে আমদানি হয়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত এসব ডাল ছাড় হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সে জন্য তারা সব ধরণের সহযোগিতা করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে টিসিবির জন্য ৮৭ ট্রাকে দুই হাজার ২১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ৩১৯ মার্কিন ডলার মূল্যে এ পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আমদানি মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ শুল্ক কর দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়েছে ৩৭ টাকা ৮৯ পয়সা।