কল্যাণ ডেস্ক: বিদায়ী বছর ব্যবসা-বাণিজ্য নানা অনিশ্চয়তায় কেটেছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, জাহাজভাড়ায় অস্বাভাবিক উত্থান ও ডলার-সংকটের কারণে নানা অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। এসব অনিশ্চয়তায় ব্যবসা করা কঠিন হয়ে যায়। নতুন বছর এসব অনিশ্চয়তা কেটে যাবে, এমন আশা করছি। অনিশ্চয়তা দূর হলে ব্যবসা-বাণিজ্য গতিশীল হয়।
নতুন বছরে অনিশ্চয়তা কাটার জন্য সুখবর আসতে হবে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান দুটি খাত প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে। প্রবাসী আয় এখন ইতিবাচক ধারায় ফিরছে। পণ্য রপ্তানি আয়ও যদি প্রত্যাশা অনুযায়ী বাড়ে, তাহলে অন্তত ডলার-সংকট কাটবে।
প্রত্যাশা থাকবে, শিল্প খাতে উৎপাদন ঠিক রাখতে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ যেন নিশ্চিত করা হয়। শিল্প খাতে গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ ঠিক থাকলে কর্মসংস্থান বাড়বে।
রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয় বাড়লে অনেক সমস্যাই কেটে যাবে। এ জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের প্রধান খাতগুলোতে সরকারি নীতিসহায়তায় আরও বেশি নজর দেওয়া দরকার।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর যেভাবে নিত্যপণ্যসহ শিল্পের কাঁচামালের দাম বেড়েছিল, এখন তা অনেকটাই কমে এসেছে। বৈশ্বিক বাজারে পণ্যের দাম এ বছর স্থিতিশীল থাকবে বলেই মনে হচ্ছে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক দিক। আবার জাহাজভাড়া কমে আসায় পণ্যের দামেও প্রভাব পড়বে। এতে পণ্যমূল্যের দামও সামনে কমে আসবে। পণ্যমূল্যের দাম কমলে ডলার খরচ কমবে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে ৫৩৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি
২০২২ সালে টাকার বিপরীতে ডলারের দাম দফায় দফায় বাড়ার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল। পণ্য বিক্রি করে দেওয়ার পর বেশি দামে ডলার কিনে পরিশোধ করতে হয়েছে। ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য এটা ছিল বড় চ্যালেঞ্জ। ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে পণ্যের আমদানি খরচও বেড়ে গিয়েছিল।
বিদায়ী বছরের শেষ দিকে জ্বালানিসংকট শিল্প খাতে উৎপাদনে প্রভাব পড়েছিল। নতুন বছরের শুরুতে সেই সমস্যা অনেকটা কমেছে। এটা ইতিবাচক দিক। প্রত্যাশা থাকবে, শিল্প খাতে উৎপাদন ঠিক রাখতে গ্যাস-বিদ্যুৎ সরবরাহ যেন নিশ্চিত করা হয়। শিল্প খাতে গ্যাস-বিদ্যুতের সরবরাহ ঠিক থাকলে কর্মসংস্থান বাড়বে। নতুন নতুন বিনিয়োগ আসবে।
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে এখন মন্দাভাব চলছে। এমন পরিস্থিতিতে বৈদেশিক আয় বাড়িয়ে ডলার-সংকট নিরসন করাই মূল চ্যালেঞ্জ।
১ Comment
Pingback: এক টাকার পণ্য যেন রূপকথার গল্প - Dainikkalyan