নিজস্ব প্রতিবেদক
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে যশোরের রূপদিয়া পর্যন্ত উচ্চগতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল সম্পন্ন হয়েছে শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই ট্রেনটি ১০টা ৩৫ মিনিটে রূপদিয়া স্টেশনে পৌঁছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, কোনো ঝামেলা ছাড়াই ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জুন নাগাদ এই পথে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।
যশোরের রূপদিয়া রেল স্টেশন কর্মকর্তা আয়নাল হোসেন খবরের কাগজকে জানান, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনতে এই রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘চায়না রেলওয়ে গ্রুপ’ (সিআরইসি) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত ব্রডগেজ ওই রেলপথে ভাঙ্গা, কাশিয়ানী এবং যশোরের পদ্মবিলা ও সিঙ্গিয়াতে রেলওয়ে জংশন রয়েছে।
এ ছাড়া যশোরের জামদিয়া ও রূপদিয়া, নড়াইল জেলা শহর, লোহাগড়ায়, গোপালগঞ্জের নগরকান্দা, মুকসুদপুর ও মহেশপুরে রেলস্টেশন হয়েছে।
তিনি আরও জানান, কাজের অংশ হিসেবে শনিবার ভাঙ্গা থেকে যশোর পর্যন্ত বিভিন্ন গতিতে ট্রেন চালিয়ে নির্মাণ অবস্থা পরীক্ষা করা হয়েছে। রবিবারও এ পরীক্ষা চলবে।
ট্রায়ালে অংশ নেওয়া রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, ভাঙ্গা থেকে যশোর অংশের ৮৭ দশমিক ৩২ কিলোমিটার পথ ৮৪ কিলোমিটার বেগে পাড়ি দিয়েছেন তারা। পথে কোথাও কোনো সমস্যার সম্মুখীন হননি তারা। ১৫ মিনিট অবস্থানের পর ট্রেনটি আবার ভাঙ্গার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। আশা করা যাচ্ছে এ রুটে আগামী জুনে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল সম্ভব হবে।
স্থানীয় প্রেমবাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান জানান, পদ্মা রেল সেতু হয়ে নতুন ট্রেন চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় খুশি স্থানীয়রা। তাদের দাবি এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য ও যোগাযোগ ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত সৃষ্টি হয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রমতে, এ প্রকল্প শেষের মেয়াদ ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। মাঠপর্যায়ে প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালে। ২০১৬ সালের ৩ মে একনেকে ‘পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প’ নামে এটির অনুমোদন হয়। এই প্রকল্পের ব্যয় হয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি টাকা।