নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে নতুন করে লড়াই করতে হবে। ঠিক যেভাবে বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা বিরোধী আন্দোলনের সকলে রাজপথে ঐক্যবদ্ধ থেকে আন্দোলন করেছিলাম। কারণ আজকে দেশে যে সমস্যা তার একমাত্র সমাধান গণতান্ত্রিক সরকার। আমরা চাই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার ফিরে আসুক। তাই আমরা যারা গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং ধর্মীয় স্বাধীনতায় বিশ্বাস করি তাদেরকে দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা যদি এক এবং একতাবদ্ধ থাকি তাহলে আমি বিশ্বাস করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সুুষ্ঠু নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারবে। তাদের পছন্দের ব্যক্তি রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পাবে।
শনিবার সদর উপজেলা কাশিমপুর ইউনিয়ন কৃষক দল আয়োজিত কৃষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। কাশিমপুর উত্তরপাড়ার অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জে
লা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকন, সদস্য মিজানুর রহমান খান প্রমুখ।
সমাবেশে অনিন্দ্য ইসলাম অমিত আরও বলেন, দেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি কৃষি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও অর্থনীতির চাকা সচল রাখা সেই কৃষক আজও শোষিত বঞ্চিত। কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যা মূল্য পায় না। বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা কৃষকের ভাগ্যোন্নয়নে কিছু করেনি। দেশের কৃষকের উন্নয়নে একমাত্র বিএনপি কাজ করছে। ইউরিয়া সারে যে ভর্তুকি প্রদান করা হয় এর শুরু টা করেছিলেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। পরবর্তীতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে সেটিকে আরও প্রসারিত করেছিলেন। স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়ে জনগণের ভোটে বেগম খালেদা জিয়া ৯১ সালে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে প্রথমে ৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তীতে ২৫ হাজার টাকা কৃষি ঋণ মওকুফ করেছিলেন।
তিনি বলেন, যাক দেশের সমস্যা সমাধানে তারেক রহমান পরিকল্পনা নিয়েছেন। তিনি বলেছেন, জনগণের ভোটে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে কৃষকের উৎপাদিক পণ্যের ন্যায্যা মূল্য নিশ্চিত করার জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। কৃষকের উৎপাদিত সকল পণ্য কৃষি বীমা আওতায় আনা হবে। ন্যায্যা মূল্যে সারসহ সকল কৃষি উপকরণ সরবরাহ করা হবে। কৃষকের সন্তানের চাকুরির জন্য বিএনপি করাও লাগবে না, কোন ঘুষও প্রদান করা লাগবে না। যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের সন্তানদের চাকুরি নিশ্চিত করা হবে।
কাশিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সরোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কৃষক সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, জেলা কৃষক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুল ইসলাম কচি, কাশিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের, সাংগঠনিক সিরাজুল ইসলাম, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তাজুল ইসলাম, কৃষক শফি উদ্দিন, ইকবাল হোসেন, সূর্য কান্ত বিশ্বাস প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব পিকুল হোসেন।