এম আর মাসুদ, ঝিকরগাছা
মরিচ চাষে লাভবান হয়েছেন মো. মতিয়ার রহমান। ১৭ শতক জমিতে তিনি মরিচ চাষ করেন। খরচ বাদে অন্তত তিন লাখ টাকা লাভের আশা করছেন এ কৃষক। মতিয়ার রহমান যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার গদখালী গ্রামের মঠবাড়িয়া পাড়ার বাসিন্দা। তিনি এলাকাতে একজন গুণীকৃষক হিসেবে পরিচিত।
বুধবার সকালে মঠবাড়িয়া মাঠে গিয়ে দেখা যায়, মতিয়ার রহমানের ক্ষেতে গাছে মরিচ রয়েছে তারার মতো। মরিচ মূলত শীতকালীন আবাদ হলেও তাঁর ক্ষেতে যে পরিমাণ ফলন তাতে মূল মৌসুমকেও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, গত ১০ জুন ৩৩ শতক জমিতে দুই প্রকারের মরিচের চারা লাগাই। ১৭ শতক জমিতে এগ্রো অন কম্পানির ধুমকেতু ও ১৬ শতক জমিতে ম্যাক্সিম এগ্রোর মরিচ কিং জাতের মরিচের চারা রোপণ করি। কিন্তু ১৬ শতক জমির মরিচ কিং জাতের গাছ হলেও মরিচ ধরেনি। এখন ধুমকেতু জাতের গাছ থেকে মরিচ উঠানো যাচ্ছে। এসব চারা রোপণ, ক্ষেতে সেচ দেওয়া, সার প্রয়োগ, নিড়ানি, কীটনাশক দেওয়াসহ ৬০ দিনে ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ক্ষেতে আগে ক্যাপসিকাম ছিল, ক্যাপসিকাম উঠে যাওয়ায় পর মরিচ চাষ করি। জমিতে আগেই মালসিং পদ্ধতি ছিল তাই মালচিংএ বাড়তি খরচ লাগেনি।
মতিয়ার রহমান বলেন, গাছের বয়স ৬০ দিন হলে মরিচ উঠানো শুরু করি। প্রতি ১০দিন অন্ততর মরিচ উঠানো হয়। ৭ সাড়ে ৭ মণ করে মরিচ উঠে। ১৩০-২০০ টাকা পর্যন্ত পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত ৩০ দিন ধরে মরিচ তুলছি। ইতোমধ্যে ৯০ হাজার টাকার মরিচ বিক্রি করেছি। খেতে যে পরিমাণ ফুল ও ফল হয়েছে, তাতে অন্তত তিন লাখ টাকার মরিচ বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী ৮ মাস ধরে গাছে মরিচ ধরবে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার বলেন, এটা গ্রীষ্মকালীন মরিচ। কৃষক মতিয়ার রহমান মালচিংসহ আধুনিক পদ্ধতিতে চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। তিনি একজন গুণী কৃষক।