নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে যৌতুক দাবিতে মারপিট ও গর্ভের সন্তান নষ্ট করার অভিযোগে স্বামী ও শাশুড়ির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঝিকরগাছা উপজেলার উত্তর দেউলি গ্রামের মৃত জয়নাল আবেদীনের মেয়ে নাজমিন আক্তার এই মামলাটি করেছেন। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান আহম্মেদ মামলাটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন। আসামিরা একই উপজেলা শহরের কৃষ্ণনগর খলিফাপাড়ার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা বেগম ও ছেলে রাসেল আল মামুন।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, নাজমিন আক্তার প্রথম স্বামীর সংসার করাকালীন সময়ে রাসেল আল মামুন প্রেমের প্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেন। বিয়ের পর নাজমিন ভাইয়ের কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ এবং আরো ১০ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার নেয় রাসেল। এছাড়া বাদীর পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে আরো ১৩ লাখ টাকা দেয়া হয় রাসেলকে। তবে রাসেলের বাড়িতে গিয়ে সংসার করাকালে তার পিতা-মাতা পুত্রবধূ হিসেবে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে তারা দুইজনে যশোরের উপশহর রজনী গন্ধা তেল পাম্পের পিছনে নজরুল ইসলামের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে তারা বসবাস করে আসছিল। সংসার করাকালে বাদী তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। তার শাশুড়ি রোজিনা বেগম জানতে পারেন। এরপর ওই সন্তান নষ্টের জন্য চাপ দিতে থাকেন। রাজি না হলে ২০২২ সালের ১৭ জুন রাসেল ও তার মা রোজিনা মারপিট করে মাটিতে ফেলে তার পেটের উপর দাঁড়িয়ে থাকে রাসেল। তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার গর্ভপাত ঘটে। ২০২৩ সালের ৩০ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে আবারও ৫ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের পরে তাকে পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয় রাসেল। বিষয়টি নিয়ে থানা পুলিশ মামলা না নেয়ায় তিনি আদালতে মামলাটি করেছেন।