নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিচারপতি, এমপি, মন্ত্রী একদিন সাবেক হবেন। কিন্তু এদেশের অকুতোভয় মুক্তিযোদ্ধারা চিরদিনই বীর মুক্তিযোদ্ধা থাকবেন। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম এই বীরদের বীরত্বের গৌরবগাঁথা ইতিহাস জানবে; শুনবে। সারা বিশ্ব মনে রাখবে। শুধু আমাদের সতর্ক থাকতে হবে বাংলাদেশের মাটিতে আর কোনদিন যেনো পাক প্রেতাত্মারা ষড়যন্ত্র করতে না পারে।
শনিবার সকালে শহরের মুন্সি মেহেরুল্লাহ ময়দানে (টাউন হল মাঠে) স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধার সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে রওশন আলী মঞ্চে আলোচনা সভা ও মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর প্রধান আলী হোসেন মনিকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য তার হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মাত্র একুশ বছর দেশ শাসন করার সুযোগ পেয়েছে। বাকি সাতাশ বছর যারা ক্ষমতায় ছিলো তারা নামে ছিলো বাংলাদেশ সরকার কিন্তু ভেতরে ছিলো পাকিস্তানি সরকার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে এই দেশকে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলন্বিত করে দেশকে পাকিস্তানের ভাবধারায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলো তারা। কিন্তু আজকে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় চলতে পারি বলেই বাংলাদেশের উন্নতি হচ্ছে।
আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর-৩ আসনের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার গনী খান পলাশ, মুক্তিযুদ্ধকালীন বৃহত্তর যশোরের মুজিব বাহিনীর উপ প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার মুযহারুল ইসলাম মন্টু, সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার আফজাল হোসেন দোদুল, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির।