নিজস্ব প্রতিবেদক
রোববার নিজেদের প্রথম ম্যাচে আবির হোসেন ও রাহুলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৩৪৬ রানের রেকর্ড জয় পায় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন যশোর শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচেও বড় জয় পেয়েছে তৌহিদুর রহমানের শিষ্যরা। উপশহর কেন্দ্রীয় ক্রীড়া উদ্যানে তারা ১৩০ রানে পরাজিত করেছে সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনকে। প্রথম ম্যাচে আবির ও রাহুলের একক নৈপূন্যে জিতলেও এদিন দুর্দান্ত দলীয় প্রচেষ্টায় জয় পেয়েছে বোর্ড স্কুল।
এই জয়ে প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট প্রতিযোগিতার যশোর জেলা পর্যায়ের ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে দলটি। শেষ ম্যাচে বোর্ড স্কুলের প্রতিপক্ষ শক্তিমত্তায় পিছিয়ে থাকা জিলা স্কুল।
শামস্-উল-হুদা স্টেডিয়ামে দিনের অপর ম্যাচে জয় পেয়েছে বাদশা ফয়সল ইসলামি ইন্সটিটিউট ঈদগাহ। জিলা স্কুলকে ৪৯ রানে হারিয়ে প্রথম জয় তুলে নিয়েছে দলটি।
বাদশা ফয়সল প্রথমে ব্যাট করে ৩৫ ওভার ৫ বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ১৩৮ রান করে। দলের রিয়াদ ২৩, সেলিম সাদমান ১৫, আবিদ রহমান ১৪ ও তাসিন খান ১৪ রান করে সংগ্রহ করেন। এরপাশে অতিরিক্ত খাত থেকে দলের খাতায় যোগ হয় ৩৯ রান। বল হাতে জিলা স্কুলের সাদিক হোসাইন ৪২ রানে ৫টি, রিফাত হাসান সাকিব ১৩ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২৬ ওভার ৪ বলে সব কয়টি উইকেট হারিয়ে ৮৯ রানে গুটিয়ে যায় জিলা স্কুলের দলীয় ইনিংস। এর মধ্যে অতিরিক্ত থেকে আসে ৩৩ রান। ব্যাট হাতে তাহসিন খান ২৪ ও গাজী সালাউদ্দিন ১৩ ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করতে পারেনি। বাদশা ফয়সল ঈদগাহের রেজওয়ান রাব্বি ৫রানে ও তাসিন খান ২৫ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন। এরপাশে রিয়াদ ১৭ রানে ২টি উইকেট দখল করেন।
উপশহর মাঠে বোর্ড স্কুল প্রথমে ব্যাট করে ওপেনার তরফদার সাদিকের ফিফটিতে ২৮ ওভার ১ বলে অল আউট হওয়ার আগে ১৯৯ রান করতে পারে। সাদিক ৫৭ বলে ফিফটি করে। ফিফটি করার পরের বলেই সাজঘরে ফিরে যায়। আউট হওয়ার আগে মারেন ৮টি চারের মার। এরপাশে আরিফুজ্জামান ২০ বলে ও সোহান হোসেন ১৮ বলে ২৩ রান করে সংগ্রহ করেন। সম্মিলনী ইন্সটিটিউশনের এসকে আল রিফাত ৪৩ রানে ৪টি, আবির পাল ও তাসিক আল তিসান ৩টি করে উইকেট দখল করেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ২১ ওভার ৪ বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান করে। নিবির পোদ্দার ২৪ ও এসকে আল রিফাত ১২ রান করেন। বোর্ড স্কুলের আলাউদ্দিন ৬ রানে ও সোহান হোসেন ১৯ রানে ৩টি উইকেট দখল করেন।