নিজস্ব প্রতিবেদক
সংসদ নির্বাচনের আমেজ না কাটতেই দুয়ারে এসেছে উপজেলা নির্বাচন। যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ মে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতিমধ্যে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। বিএনপি ও তাদের জোট নির্বাচনে এখন পর্যন্ত না আসায় সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের একাধিক প্রার্থী মাঠে নেমেছেন। করছেন কুশল বিনিময়। হাট-বাজারে ও গ্রামের মোড়ে মোড়ের গিয়ে পথসভা ও মতবিনিময় করে চলেছেন। প্রচার-প্রচারণায় তারা সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন ও উন্নয়নের আশ্বাস দিচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর সদরে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে এখন পর্যন্ত ৮ প্রার্থী প্রচার প্রচারণায় মাঠে রয়েছেন। তাদের প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মেহেদী হাসান মিন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহারুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জুয়েল ও সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক ফাতেমা আনোয়ার।
ভোটারদের ধারণা শেষমেষ প্রার্থী হিসেবে সবাই মাঠে থাকবেন না। শেষ পর্যন্ত এ সংখ্যা ৩ থেকে ৫ জনে নেমে আসতে পারেন। মাঠে থাকতে পারেন তিন গুপের তিন নেতা। তবে নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করতে হবে মনোনয়নপত্র জমা দেয়া পর্যন্ত। কারণ ভিতরে ভিতরে চলছে নানা মেরুকরণ। চলছে নানা হিসেব নিকেশ।
ইসি মতে, আগামী মে মাস থেকে উপজেলা নির্বাচন শুরু হবে। সম্প্রতি ইসি কার্যালয়ের প্রেসব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হয়েছে চার ধাপে উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণের কথা। এরপরই শহর-গ্রামের লেগেছে ভোটের হাওয়া। সম্ভাব্য প্রার্থীদের সক্রিয়ভাবে মাঠে দেখা মিলছে। নিয়মিত ভোটারদের সাথে কুশল বিনিময় ও সভা করছেন।
৪ মে প্রথম ধাপ, ১১ মে দ্বিতীয় ধাপ, ১৮ মে তৃতীয় ও ২৫ মে চতুর্থ ধাপে ৪৯৫ টি উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় কোন নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা প্রচার-প্রচারণায় বা সরাসরি কোন প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে মাঠে নামতে পারেন না।
আর দলীয় প্রতীক না থাকায় আওয়ামী লীগের নেতারা উন্মুক্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন। এছাড়ও আওয়ামী লীগের জেলা পর্যায়ের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মনোনীত কোন প্রার্থী থাকবে না। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক কোন প্রার্থীর পক্ষে-বিপক্ষে প্রচার-প্রচারণায় অংশও নিতে পারবেন না।
নির্বাচনের বিষয়ে মোহিত কুমার নাথ বলেন, সন্ত্রাস মাদকমুক্ত সদর উপজেলা গড়াই আমার মূল লক্ষ্য। উপজেলাবাসীর পাশে দীর্ঘদিন ধরে আছি। তাদের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতে চাই।
যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু জানান, মঙ্গলবার থেকে আমি আনুষ্ঠিানিকভাবে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছি। এর আগে ভোটারদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেছি। তৃণমূল নেতৃবৃন্দসহ সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা আমার সাথেই আছেন। উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসাবে যশোর সদরের সকল মানুষের সেবা করতে চাইছি, আশা করি উপজেলাবাসী আমার সাথে থাকবেন।
প্রচারণায় একমাত্র নারী প্রার্থী ফাতেমা আনোয়ার বলেন, সদর উপজেলাবাসীর জনসেবা করতে চাই। সেই লক্ষ্যে চেয়ারম্যান প্রার্থী হবো। নির্বাচিত হলে সদর উপজেলা হবে স্মার্ট, নারীর ক্ষমতায়ন, গতিশীল উপজেলা। নারীরা অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে। ##