নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে অব্যাহত খুন, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধের বিস্তৃতিতে উদ্বেগ জানিয়েছেন জেলা জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে দলীয় কর্মী আমিনুল ইসলাম সজল হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য প্রদান করেন জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল। তিনি বলেন, ‘শহরতলির ম-লগাতী, খোলাডাঙ্গা ও গাজীর বাজার এলাকায় সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজদের বিচরণক্ষেত্র। সদর উপজেলার আরবপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড গাজীর বাজার ইউনিটের সভাপতি ও খোলাডাঙ্গা গাজীর বাজার কমিটির সভাপতি আমিনুল ইসলাম সজল এলাকার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে ভূমিকা রাখছিলেন। এজন্য সন্ত্রাসীরা ক্ষুব্ধ হয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করেছে।’
হত্যাকাণ্ডের এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী খোঁড়া কামরুল, টিটো, স্মরণ, লাবিব, মুন্না, মুরসালিনসহ আরও কয়েকজন সরাসরি জড়িত বলেও সংবাদ সম্মেলন থেকে জানানো হয়। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি লাবিবসহ ৫ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু মূল আসামিরা এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জেলা আমির অধ্যাপক গোলাম রসুল ও জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা নায়েবে আমির মো. বেলাল হুসাইন, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক শামসুজ্জামান, মাওলানা রেজাউল করিম, প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন বিশ্বাস, মাওলানা ইসমাইল হোসেন, আরবপুর ইউনিয়ন সভাপতি আসাদুজ্জামান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৪ নভেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে খোলাডাঙ্গা সার গোডাউনের পাশে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় আমিনুল ইসলাম সজলকে। এ ঘটনায় স্থানীয় ছয় জনসহ অজ্ঞাত সাত জনকে আসামি করে মামলা করেন আমিনুল ইসলামের ভাই আজাহারুল ইসলাম। বুধবার রাতে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানানো হয়। এদিন আদালতের মাধ্যমে আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।