ব্যয় ১৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা
নামকরণের অনুমোদন দিয়েছে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর
নিজস্ব প্রতিবেদক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানা ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার পিতা শেখ জহুরুল হকের নামে যশোরে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি নির্মাণ করা হবে। এজন্য ‘শেখ জহুরুল হক পল্লি উন্নয়ন একডেমি যশোর প্রতিষ্ঠাকরণ’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা কমিশনে। এটি বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৯৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রসঙ্গত, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার পিতা শেখ জহুরুল হক যশোরে চাকরি করতেন। তার মৃত্যুর পর সেখানেই সমাহিত করা হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর যশোরের মণিরামপুরের পল্লী উন্নয়ন একাডেমির নাম শেখ জহুরুল হক পল্লী উন্নয়ন একাডেমি যশোর নামকরণ করার বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে।
পরিকল্পনা কমিশনের একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর গত বছরের ২৬ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভা। ওই সভায় দেয়া সুপারিশগুলো প্রতিপালন করায় প্রকল্পটি ১৯ এপ্রিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তা অনুমোদন দেওয়া হয়। আগামী ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করবে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ), বগুড়া।
প্রকল্প প্রস্তাবে বলা হয়েছে, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের ১০টি জেলা তুলনামূলকভাবে অনগ্রসর ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের দিক থেকে ঝুঁকিপূর্ণ। উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি এবং গবেষণা প্রয়োগিক গবেষণার মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য এ অঞ্চলে পল্লী উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠা করা আবশ্যক। কৃষি ও অকৃষি পেশায় দক্ষ ও অর্থনৈতিক স্বাবলম্বী জনগোষ্ঠী তৈরির মধ্য দিয়ে পল্লী উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্য এই প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে।
প্রকল্পের আওতায় মূল কার্যক্রম হচ্ছে, একটি প্রশাসনিক-কাম অনুষদ ভবন নির্মাণ, একটি ক্যাফেটেরিয়াসহ বিনোদন কেন্দ্র ও গেস্ট হাউজ, একটি পুরুষ হোস্টেল এবং একটি মহিলা হোস্টেল, একটি টেকনিক্যাল এবং জেনারেল স্কুল ও কলেজ ভবন, ডিজি বাংলো নির্মাণ, একটি ফ্যাকাল্টি কোয়ার্টার ও একটি স্টাফ কোয়ার্টার, একটি মেডিকেল সেন্টার, ৬টি ফার্ম (ফসল, ডেইরি, পোলট্রি, মৎস্য, টিস্যু কালচার এবং নার্সারি) ইউনিট স্থাপন, সীমানা প্রাচীর, গেইট, গার্ড, করিডোর, মসজিদ, রাস্তা ও ড্রেনেজ নির্মাণ করা হবে।
এ বিষয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রশিক্ষিত করে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা হবে। পল্লী উন্নয়ন সম্পর্কিত সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিতকরণের মাধ্যমে বছরে কমপক্ষে ৫টি টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে গবেষণা পরিচালনা করা এবং গবেষণা করা ফলাফল সম্প্রসারিত করার জন্য বছরে কমপক্ষে ২টি প্রায়োগিক গবেষণা পরিচালনা করা দরকার। তিনি আরও বলেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চলের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ঘটবে।