নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে ভ্রাম্যমাণ নিরাপদ খাদ্য পরীক্ষাগারের যাত্রা শুরু হয়েছে। খাদ্যের গুণগত মান পরীক্ষায় বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় এ পরীক্ষাগার চালু হয়েছে। রোববার দুপুরে কালেক্টরেট ভবন চত্বরে ফিতা কেটে পরীক্ষাগারের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার। ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটিতে ভেজাল খাদ্য পরীক্ষার জন্য রয়েছে ৩২টি আধুনিক যন্ত্র।
এবিষয়ে জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারে র্যাপিড টেস্টকিট ব্যবহারের ফলে খাদ্যে ভেজালের তাৎক্ষণিক ফলাফল পাওয়া যাবে। এতে যেমন ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমবে তেমনি নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা পাবেন সাধারণ মানুষ।
তিনি জানান, এ পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করা যাবে দুধে ডিটারজেন্ট, স্টার্ট ও ইউরিয়ার উপস্থিতি। ঘি-তে বনস্পতি-হাউড্রোজিনেটেড এডিবল ফ্যাটের উপস্থিতি, হলুদের গুড়ায় লেড ক্রোমেটের উপস্থিতি, মরিচের গুড়ায় ইটের গুড়ার উপস্থিতি, গোল মরিচে পেঁপের বীজ মেশানো, নারকেল তেলের ভেজাল, শাক-সবজি, ফল-মূলে রং ও কীটনাশকের উপস্থিতি, মধুতে চিনির মিশ্রণ, পাউরুটিতে ক্ষতিকর পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি, খাবারে অননুমোদিত কৃত্রিম রঙের উপস্থিতি ও খাবারে ক্ষতিকর ভারি ধাতুর উপস্থিতিসহ আরও অনেক পরীক্ষার ফলাফল। পরীক্ষা করে তাৎক্ষণিকভাবে পাওয়া যাবে রেজাল্ট।
জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা আরো জানিয়েছেন, প্রথম দিন যশোরে ৪টি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে পাউরুটিতে ক্ষতিকর পটাশিয়াম ব্রোমেটের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খুলনা বিভাগের সবকটি জেলায় সিডিউল অনুযায়ী অভিযান চালানো হবে। ফলে যশোরে অন্তত ৬দিন ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগারটি অবস্থান করবে। এতে ভেজাল খাদ্যের বিরুদ্ধে অভিযানের মান আরও উন্নত হবে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শাহীন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার।