নিজস্ব প্রতিবেদক
মশার যন্ত্রণা থেকে যেন রক্ষা নেই যশোরবাসীর। বাসাবাড়ি কিংবা অফিস আদালত সবখানে সবসময় মশার অত্যাচার সহ্য করতে হচ্ছে নাগরিকদের। পৌরসভার দাবি, মশা নিধনে ওষুধ প্রয়োগ চলমান আছে। ডেনমার্ক থেকে আমদানি করা ম্যালাথিওন ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু পৌরবাসী এর সুফল পাচ্ছেন না বলে দাবি করছেন।
শহরবাসীর ভাষ্য, দিনের বেলায় খোলা জায়গায় বসে থাকলেও মশার ভনভন শব্দে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছেন মানুষ। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে মশার এ উপদ্রব বেড়ে যায় কয়েকগুণ। যাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। বিশেষ করে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়ছেন শিক্ষার্থী, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী, স্বজন, বৃদ্ধ ও শিশুরা। রমজানের ইফতারি ও সেহরির সময় মানুষ মশার জ্বালায় নিদারুণ ভোগান্তিতে পড়ছেন। কয়েল, স্প্রে ও ইলেকট্রিক ব্যাট ছাড়াও মশারি টাঙিয়েও মশার অত্যাচার থেকে রেহাই পাচ্ছেন না তারা।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হুসাইন শাফায়েত সর্বশেষ জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় মশার উপদ্রব কমানোর জন্য পৌর প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
যশোর নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক শেখ মাসুদুজ্জামান মিঠু বলেন, অতিসম্প্রতি যশোর পৌরসভার পক্ষ থেকে মশা নিধন অভিযান হয়েছে বলে শুনিনি। মশা নিধন অভিযানে কিছুটা ভাটা পড়েছে। আবার মশা নিধনের ওষুধ দেয়া হলেও কাজের কাজ হচ্ছে না। সামনে ডেঙ্গুর মৌসুম তাই এখনই সম্মিলিত ভাবে মশা নিধন অভিযান শুরু করার দরকার।
যশোর পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু বলেন, ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে মশা নিধন অভিযান শুরু করা হয়। পৌরসভার সকল ওয়ার্ডে একযোগে চলা এ অভিযান শেষ হয় ২৬ ফেব্রুয়ারি। এখনো অভিযান চলমান রয়েছে। বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে মশা মারার ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এবারের অভিযানে ওষুধ পরিবর্তন করা হয়েছে। এছাড়া পরিমাণও আগের তুলনায় বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়া বাড়ির পাশের ঝোঁপঝাড় অনেকে পরিষ্কার রাখছেন না। ছাদবাগানের টবের পানি থেকেও বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে। এসব ব্যাপারে সবাইকে একটু সচেতন থাকতে হবে। তাহলে মশার সংখ্যা কমবে বলে মন্তব্য করেন।
এদিকে, যশোর পৌরসভার মশা নিধনের ওষুধ কাজে আসছে না বলে নাগরিকরা মনে করচেন। ওষুধের কার্যকারিতা নেই বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বারবার ওষুধ পরিবর্তন করেও মশা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ।
মশা নিধন অভিযানে এরআগে সিঙ্গাপুরের ডাবল-এ এবং ভারতের এগ্রো মাইথিন নামে দুই ধরনের ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল। বর্তমানে চলমান অভিযানে ডেনমার্ক থেকে আমদানি করা ম্যালাথিওন ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার প্রশাসনিক ও দায়িত্বপ্রাপ্ত তথ্য কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু।
7