নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে বর্ণাঢ্য আয়োজনে তিন দিনব্যাপী পিঠা পার্বণ উৎসব শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোর শহরের খড়কি এলাকায় অবস্থিত আইডিয়া প্রাঙ্গণে এই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। আইডিয়া পিঠা পার্কের ৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে পিঠা পার্বণ উৎসবের উদ্বোধন করেন যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মর্জিনা আক্তার।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যশোর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর অমল কুমার বিশ্বাস, প্রবীণ শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন ও কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ববিদ ফয়েজ উদ্দিন আহমেদ।
প্রধান অতিথি প্রফেসর মর্জিনা আক্তার বলেন, আইডিয়া পিঠা পার্ক শুধু সংস্কৃতিকেই বাঁচিয়ে রাখছে না বরং তৈরি করছে হাজারো বেকার শিক্ষার্থীর কর্মসংস্থান। আমি প্রতিনিয়ত এখানে আসা-যাওয়া করি। এই পিঠার স্বাদে ফিরে পায় আমার শৈশবের স্মৃতি।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন দৈনিক সংবাদের বিশেষ প্রতিনিধি রুকুনউদ্দৌলাহ্, আইডিয়া পিঠা পার্কের কোর্ডিনেটর সোমা খান ও আইডিয়া স্পোকেনের কোর্ডিনেটর নাবিলা সুলতানা।
অনুষ্ঠানে শেষে বাংলাদেশ পিঠা গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও আইডিয়া পিঠা পার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা মো. হামিদুল হক সম্পাদিত বাংলাদেশ পিঠা গবেষণা ইন্সটিটিউটের প্রথম প্রকাশনা- ‘বাংলাদেশের অঞ্চলভিত্তিক পিঠার সম্ভার’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
আইডিয়া পিঠা পার্কের স্বপ্নদ্রষ্টা মো. হামিদুল হক বলেন বলেন, ‘বাংলাদেশ পিঠা গবেষণা ইন্সটিটিউট পিঠা সম্পদ সংরক্ষণ, উন্নয়নে ক্রমাগত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। পিঠা আমাদের সংস্কৃতির ধুলো পড়া এক সমৃদ্ধ রতœভান্ডার। একে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে নিয়ে যাওয়া ও বিলুপ্তপ্রায় পিঠাকে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমেই সম্ভব দেশজ সংস্কৃতির প্রচার, প্রসার। পিঠা-র অর্থনৈতিক সম্ভাবনা প্রচুর। ফলে এর মাধ্যমেই সম্ভব দারিদ্র দূরীকরণ।
এছাড়াও পিঠা-র যে ব্যাপক চাহিদা দেশে-বিদেশে রয়েছে তার-ই প্রমাণ আইডিয়া পিঠা পার্ক এর ৬ষ্ঠ বছরে সফল পদার্পণ। প্রয়োজন শুধু সকলের এগিয়ে এসে এই সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে তোলা। এজন্যই বাংলাদেশ পিঠা গবেষণা ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু।