নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর শহরের রেলস্টেশনের সামনে রেলওয়ের জায়গায় অবৈধভাবে একাধিক দোকানপাট গড়ে উঠেছে। একই সাথে সামনের ফুটপাতও দখল করেছেন দোকানদাররা। জনগণ ফুটপাত ব্যবহার করতে পারছেন না। দোকানদাররা একদিকে চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে অন্যদিকে রেলওয়ের কোন খাজনা দিচ্ছেন না বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, রেলস্টেশনের সামনে রয়েছে রেল বাজার। এ বাজারের পশ্চিম প্রান্ত থেকে পূর্ব পর্যন্ত রয়েছে ফুটপাত। এই ফুটপাতসহ রেলের ইজারাবিহীন জায়গা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মা-বাবা গার্মেন্টসের নাম দিয়ে মারুফ হোসেন নামে একজন কাপড়ের ব্যবসা করছেন। তিনি রেলের জায়গা দখল করে এ ব্যবসা করছেন। পাশাপাশি তিনি পেছনে পানের দোকানও দিয়েছেন। এর পাশে আখতার হোসেন ওরফে চাশমা ওয়ালা নামে এক ব্যক্তি চায়ের দোকান দিয়েছেন। তার পাশে রানা নামে একজন চায়ের দোকান দিয়েছেন। কখনো কখনো ফলের ব্যবসা করেন তিনি। এখানে আছে আরো কয়েক ব্যবসায়ী। তারাও দখল করেছেন রেলওয়ের জমি। দখলে আছেন সুমনের মা। তিনি চায়ের দোকান দিয়েছেন। অবৈধভাবে পুরির দোকান বসিয়েছেন ইসমাইল হোসেন। আর কলার দোকান দিয়েছেন চায়না ও সিরাজ। এছাড়াও সুমন নামে আরো একজন চায়ের দোকান দিয়েছেন। এভাবে প্রতিনিয়তই দখলদারের সংখ্যা বাড়ছে। অভিযোগ রয়েছে রেলের নিরাপত্তা বাহিনী ও জিআরপি তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকেন। আর যারা সবজি বিক্রি করেন তাদের কাছ থেকে দৈনিক নেওয়া হয় ১০ টাকা। যা তারা নিজেদের পকেটে রাখেন। এজন্য দখলদারদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। উচ্ছেদ অভিযান চলে না।
এদিকে, রেলের জায়গা অবৈধভাবে দখলের পাশাপাশি সেখানে থাকা ফুটপাতের পুরোটাই দখল করা হয়েছে। সাধারণ মানুষ ফুটপাত ব্যবহার করতে না পেরে রাস্তার পাশ দিয়ে হাঁটতে গিয়ে রিকশা-ইজিবাইকের ঘা-গুতা খাচ্ছেন। এছাড়া সেখানে রাস্তা অপ্রশস্ত হওয়ায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এতে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবাইকে। আবার রেল বিভাগ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয়রা তাদের উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন।
জানতে চাইলে যশোর রেলস্টেশন ম্যানেজার আইনাল হোসেন দৈনিক কল্যাণকে বলেন, স্টেশন সংলগ্ন রেল বিভাগের জমিতে অবৈধভাবে দখল করে ব্যবসা করছেন অনেকে। কিন্তু এগুলো তার দেখার বিষয় না। জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো দেখে থাকে রেলের স্টেট বিভাগ।
রেলের ফিল্ড কানুনগো মহাসিন হোসেন জানান, তিনি নতুন এসেছেন। আবার বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন। ছুটি শেষে এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবেন।