নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোর শিশু হাসপাতাল থেকে রোববার দিনেদুপুরে চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার হয়েছে। সোমবার বেলা ১ টার দিকে মাগুরার সীমাখালীর একটি বাড়ি থেকে ওই শিশুটি উদ্ধার করেছে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চত করে ডিবি পুলিশের ওসি রূপন কুমার সরকার বলেছেন এ বিষয়ে বিস্তারিত সাংবাদিকদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।
এরআগে পুলিশ জানান. নার্স, স্টাফ ও নিরাপত্তা প্রহরীর চোখে ধুলো দিয়ে এক নারী রোববার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে শিশুটি চুরি করে নিয়ে যায়। ওই শিশুটির মা আসমা খাতুন ও বাবা মেহেদী হাসান জনি ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ পৌর শহরের বাসিন্দা।
এক বছর আগে কালীগঞ্জ পৌর শহরের একটি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ের দপ্তরি মেহেদী হাসান জনির সাথে কোটচাঁদপুর এলাকার গাংনা এলাকার আসমা খাতুনের সাথে বিয়ে হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি কালীগঞ্জে একটি হসপিটালে আসমা সিজারের মাধ্যমে প্রথম সন্তান প্রসব করেন। সদ্যজাত শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই দিন রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে যশোর শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশু হাসপাতালে ৭ দিন চিকিৎসার পর সুস্থ হলে রোববার সকালে চিকিৎসক নবজাতকটিকে ছাড়পত্র দেন। এক পর্যায়ে শিশুটি বাবা তাদের সবাইকে বাড়িতে নেওয়ার জন্য বেলা ১১ টার তিবে গাড়ি আনতে হাসপাতালের বাইরে যান। এই সময়ে শিশুটির মা ও নানীর কাছে বোরকা পরহিত ৪০ বছর বয়সী এক নারী গল্প করতে থাকে। এমন সময়ে তাদের মধ্যে ভাব জমে। একপর্যায়ে ওই নারী শিশুটির দেখাশোনা করবেন জানিয়ে শিশুটির মা ও নানীকে বাড়ি যাওয়ার জন্য গুছিয়ে নিতে ওয়াশরুমে যাওয়ার কথা বলেন। শিশুটি মা ও নানী উভয়েই ফিরে এসে দেখেন, ওই নারী ও শিশুটি নেই। এরপর শিশুটি উদ্ধারে নামে পুলিশ।
যশোর ডিবি পুলিশের ওসি রুপন কুমার সরকার জানান, পুলিশ হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা করতে থাকে। এক পর্যায়ে সোমবার দুপুর একটার দিকে সীমাখালীর একটি বাড়ি থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। ওই বাড়িতে শিশুটিকে রেখে পালিয়ে যায় বোরকা পরিহিত সেই নারী।