বসবাস না করলে বরাদ্দ বাতিল : জেলা প্রশাসক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক: মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘরে বসবাস না করলে বরাদ্দ বাতিল করা হবে। অভিযোগ পাওয়ার পরই তদন্ত হবে। সত্যতা মিললে বরাদ্দ বাতিল করে বাড়িঘর হস্তান্তর করা হবে অন্য কোনো ভূমিহীন পরিবারকে-এই সতর্ক বার্তা দিয়েছেন যশোরের জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
আজ আনুষ্ঠানিকভাবে যশোরের ৩১৮ ভূমিহীন পরিবারকে দুই শতক জমিতে নির্মিত পাকাঘর হস্তান্তর করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যশোরসহ সারা দেশের এ বাড়ি হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। এ উপলক্ষে সোমবার দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিং করেন জেলা প্রশাসক। এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তুষার কুমার পাল উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে দেশজুড়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় যশোরে আশ্রয়ন প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায় ৬১০ পরিবার পাবেন জমিসহ পাকাঘর। এখনো সব ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হয়নি। যেকারণে মঙ্গলবার জেলার ৩১৮টি পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হবে বাড়ির দলিল। তিনি বলেন, এবার বাড়ির ডিজাইনে নতুনত্ব রয়েছে। এরআগে জেলায় আরও এক হাজার ১৮১ পরিবার মুজিবর্ষের উপহার হিসেবে বাড়ি পেয়েছেন। তবে এবার নতুন ডিজাইনের বাড়ি নির্মাণে আগের চেয়ে ব্যয় হয়েছে বেশি। এবার প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ’ টাকা।
জেলা প্রশাসক বলেন, এবারের বাড়ি প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, দ্রুতগতিতে বাড়ি নির্মাণ কাজ চলছে। ঈদের পর অন্যরাও বুঝে পাবেন বাড়ির দলিল। তৃতীয় প্রকল্পই শেষ নয় উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আগামীতেও ভূমিহীন ও গৃহহীনদের সরকারি বাড়িঘর প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, আজ যশোর সদরে ৮১, বাঘারপাড়ায় ৫, অভয়নগরে ২৮, মণিরামপুরে ৪৮, কেশবপুরে ৬১, ঝিকরগাছায় ৪১, চৌগাছায় ৪৮ ও শার্শার ৬টি পরিবার পাবেন বাড়িসহ দলিল।