সন্দেহ করছে তদন্ত কমিটির প্রধান
ল্যাবটেস্টে পাঠানো হয়েছে নমুনা
নিজস্ব প্রতিবেদক: যশোরে বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশনের (বিসিআইসি’র) বাফার গুদামে ঢুকতে না দেয়া ৭০ মেট্রিক টন (পাঁচ ট্রাক) টিএসপি সারে ভেজাল উপাদান পেয়েছে তদন্ত কমিটি। গতকাল সোমবার নমুনা সার ল্যাবটেস্টে পাঠানো হয়েছে। তবে সঠিক রির্পোট মিলবে চলতি সপ্তাহে বলে আশা করছেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা।
সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন কারখানা থেকে আসা আসল সার পথে বিক্রি করে নকল টিএসপি ট্রাকে তুলে যশোর গুদামে খালাসের চেষ্টা চালানো হচ্ছিলো। এ ঘটনায় তিন সদস্যর তদন্ত কমিটি গঠন করেছে টিএসপি কর্তৃপক্ষ। টিএসপির উপ-প্রধান রসায়নবিদ রেজাউল ইসলামকে প্রধান করা হয়েছে। অন্য দু’জন হলেন উপ প্রধান হিসাব রক্ষক নির্মল কুমার দত্ত ও ব্যবস্থাপক (উৎপাদন) শফিকুল ইসলাম।
জানা যায়, সৈয়দ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চট্রগ্রামের পতেঙ্গায় টিএসপি সার কারখানা থেকে ৬ টি ট্রাকে করে ৭০ মেট্রিক টন সার গত ১৫ মার্চ রাতে যশোর সদরের বাহাদুরপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ কেমিকেল ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন নিয়ন্ত্রিত বাফার গুদামের উদ্দেশে রওনা হয়। যার প্রতি টনের দাম ২ হাজার টাকা।
যশোর গুদামের ইনচার্জ আক্তারুল ইসলাম জানান, ১৭ মার্চ ওই সার যশোর গুদামে এসে পৌছায়। এসময় ট্রাকে বোঝাই সার দেখে সন্দেহ হলে তিনি খালাস বন্ধ করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিষয়টি অবহিত করেন। এবং ওই দিনই টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডে লিখিত আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ট্রাকসহ সারগুলো জব্দ করার নির্দেশ দেয়। সারবোঝাই ট্রাকগুলো হলো ঢাকা মেট্রো-ট-১৫-০১৩৬, ঢাকা মেট্রো-ট-১৮-০৬২১, ঝিনাইদহ-ট-১১-১৩৪৮, ঝিনাইদহ-ট-১১-০৯১৬, ঝিনাইদহ-ট-১১-০৯৮২।
আক্তারুল ইসলাম আরও জানান, সারগুলো নকল কি আসল তা বলতে পারবো না। তবে সার নিয়ে সন্দেহ হওয়ায় আমি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা সার খালাস না করে ট্রাকসহ গুদামের বাইরে রাখার নির্দেশ দেন। ইতিমধ্যে টিএসপি কমপ্লেক্স লিমিটেডের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা করেছে। তারা যশোরে এসে জব্দকৃত সারের নমুনা সংগ্রহ করে চট্রগ্রামের সার কারখানার পরীক্ষাগারে নিয়ে গেছেন। দু’একদিনের মধ্যে ফলাফল পাওয়া যাবে। ডিএফপিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান জানান, টিএসপি সারের সন্দেহের বিষয়টি জানার পর তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। কমিটির সদস্যরা যশোরে বাফার গুদামে পাঠানো সার পরীক্ষা করে ওদখবেন। সারগুলো ভেজাল প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।
তদন্ত কমিটির প্রধান টিএসপির উপ-প্রধান রসায়নবিদ রেজাউল ইসলাম জানান, আমরা সোমবার নমুনাগুলো ল্যাবটেস্টে পাঠিয়েছি। প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে সারগুলো নি¤œমানের। আশা করছি চলতি সপ্তাহে রির্পোট পেয়ে যাব। তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, জব্দকৃত সার প্রাথমিক তদন্তে ভেজাল বলে সনাক্ত হয়েছে। ল্যাবটেস্টে পূর্ণাঙ্গ ফলাফল জানা যাবে।