নিজস্ব প্রতিবেদক
যৌতুক মামলায় যশোরে ইমামুল হক নামে পলাতক এক আসামিকে দুই বছর সশ্রম কারাদ- ও অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম কিবরিয়া এই রায় দিয়েছেন। সাজাপ্রাপ্ত ইমামুল হক নড়াইল সদর উপজেলার ঘোড়াখালি গ্রামের খবির হোসেনের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীর আইনজীবী রুহিন বালুজ জানিয়েছেন, এই রায়ে বাদী পক্ষ সন্তষ্ট। সাক্ষীদের মাধ্যমে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হওয়ায় বিচারক এই সাজা দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আসামি ইমামুল হক ২০০৯ সালের ১০ আগস্ট যশোরের অভয়নগর উপজেলার হিদিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের মেয়ে মহাসীনা আক্তার কনাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর বিভিন্ন সময় আসামিকে যৌতুক হিসেবে মেয়ের পিতার পরিবার থেকে ১০ লাখ টাকা দিয়েছে। এরপরও আসামি ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে কনার উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। একপর্যায়ে আসামি ইমামুলের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে অস্বীকার করায় কনাকে মেয়েসহ পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেন। ২০২২ সালের ১১ এপ্রিল বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মিমাংসার জন্য ইমামুল হককে ডেকে যৌতুক ছাড়াই সংসার করার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু ইমামুল যৌতুক ছাড়া স্ত্রী কনাকে নিয়ে সংসার করবেননা বলে জানিয়ে দেন। বিষয়টি মিমাংসায় ব্যর্থ হয়ে ওই বছরের ১২ এপ্রিল ইমামুললের বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনে মামলা করেন তার স্ত্রী কনা। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি ইমামুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
