নিজস্ব প্রতিবেদক
দ্বিতীয় স্ত্রীর যৌতুক মামলায় যশোর সদর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি বাহারুল ইসলামকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। মঙ্গলবার যশোরের অভয়নগর আমলী আদালতের বিচারক এই আদেশ দিয়েছেন। বাহারুল ইসলাম সদরের ভায়না গ্রামের সরদারপাড়ার বুরহান উদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১২ জানুয়ারি অভয়নগরের চলিশিয়া গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে খালেদা খাতুনকে বিয়ে করের বাহারুল। বিয়ের পর থেকেই ব্যবসা করার কথা বলে দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবিতে খালেদার উপর নির্যাতন চালিয়ে আসছিলেন। মেয়ের সুখের কথা ভেবে বাধ্য হয়ে খালেদার পিতা হাবিবুর রহমান তার জামাইকে যৌতুকের দেড় লাখ টাকা দেন। এরই মধ্যে তাদের দাম্পত্য জীবনে দুইটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু চাহিদামতো যৌতুক না পেয়ে আবারও দুই লাখ টাকা দাবিতে খালেদার উপর নির্যাতন শুরু করে তার স্বামী। এক পর্যায় ছেলে দুইটি কেড়ে রেখে একবস্ত্রে খালেদাকে তার পিতার বাড়িতে তাড়িয়ে দেয়।
আর এই সুযোগে একই গ্রামের মফিজ মোল্যার মেয়ে দুই সন্তানের জননীকে আবারও বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে আসে বাহারুল। চলতি বছরের ২৬ জানুয়ারি খালেদা খাতুন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে যৌতুক নিরোধ আইনে বাহারুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন। সময়মত হাজির না হওয়ায় বাহারুলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন বিচারক। গতকাল সকালে আদালতে হাজির হলে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন।