রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
সবরকম ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির কারণে তেলের চাহিদা পূরণ ও লাভের আশায় মণিরামপুর উপজেলা রাজগঞ্জ অঞ্চলের রাজগঞ্জ নেংগুড়াহাট এলাকার চাষিরা নতুন করে তেলজাতীয় ফসল তিলের আবাদ করতে শুরু করেছেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর তিলের আবাদ বেড়েছে অনেক।
উচ্চ ফলনশীল জাতের তিলের আবাদে কৃষকের আগ্রহ সেই সঙ্গে কৃষি বিভাগ মাঠ পর্যায়ে তিল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণের ফলে তিল চাষের গত কয়েক বছর ধরে তিলের আবাদ বাড়তে শুরু করেছে। নতুন করে তিল চাষ বাড়ার কারণ হিসেবে কৃষকরা বলেন, এক সময় দেশি জাতের তিলের চাষ করে অন্যান্য ফসলের তুলনায় তেমন একটা লাভ হতো না। তাই এলাকার মানুষ তিলের আবাদ প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল। বর্তমানে দেশে উচ্চ ফলনশীল তিলের জাত উদ্ভাবন হওয়ায় ও কৃষি বিভাগের তদারকিতে আবারও মানুষ তিল চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। চলতি মৌসুমে এলাকায় বারী তিল-৪ জাতের তিলের চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে ভাল থাকলে সব জাতের তিলেরই বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়ন কৃষি উপসহকারী মারুফুল হক বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় তিল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। নেংগুড়া বাজারের আড়ত ব্যবসায়ী ইউনুচ বলেন, বর্তমান বাজারে প্রতিমণ তিল ২ হাজার ৫শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, একজন কৃষক জমিতে তিল চাষ করে নানা রকম উপকার পেয়ে থাকেন। তিলে জমিতে পড়া পতা জমিতে পচে মাটির সাথে মিশে সবুজ সারের কাজ করে। একই জমিতে কয়েক বছর তিলের চাষ করলে অন্যান্য ফসলের আবাদ করতে রাসায়নিক সারের প্রয়োজন হয় না। এছাড়া তিলের গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এ ফসলে তেমন কোন রোগ-বালাই নেই বলে খুব কম খরচে ও সহজ পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। পানি জমে না, একদিকে ঢালু, দো-আঁশ মাটি ও একটু উঁচু জমিতে তিল ভালো জন্মে।