বাগআঁচড়া প্রতিনিধি
যশোরের শার্শায় উপজেলা নির্বাচনে নির্বাচনি অফিস করাকে কেন্দ্র করে বর্তমান চেয়ারম্যান সমর্থকদের হামলায় সাবেক চেয়ারম্যানসহ অন্তত ৫জন গুরুতর আহত হয়েছে। বুধবার রাতে উপজেলার গোগা ইউনিয়নের গোগা বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আহতদের মধ্যে সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ (৬০), কালিয়ানি গ্রামের আফিল উদ্দীনের ছেলে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দীন (৪৪), গোগা এলাকার জয়নালের ছেলে জুলফিকার আলী ভুট্রো (৪০), একই এলাকার নুর ইসলামের ছেলে আব্দুল ওহাব (৪৫) ও ইদ্রিস (৪৫)। পরে উদ্ধার করে তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, তিন চার মাস আগে গোগা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবর রহমানসহ তার লোকজন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদের গোগা বাজারে অবস্থিত একটি ভাড়াটিয়া মুদি দোকান জোরপূর্বক দখল করে নেয় এবং দোকানে তালা দিয়ে দোকানের চাবি বাজার কমিটির সেক্রেটারি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর নিকট রক্ষিত রাখে। বুধবার ঘটনার সময়ে রশিদ চেয়ারম্যান দোকান ঘরটি উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহারাব হোসেনের নির্বাচনী অফিস করার লক্ষ্যে মোহাম্মদ আলীর নিকট দোকানের চাবি চাইলে দিবেনা বলে জানিয়ে দেয়। এসময় তিনি দোকানের তালা ভেঙে দোকানে প্রবেশ করে এবং চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী সোহরাব হোসেনের নির্বাচনী অফিস হিসাবে ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে রশিদ চেয়ারম্যানসহ অন্যান্য লোকজন জসিমের দোকানে বসে ছিলো। এসময় বর্তমান চেয়ারম্যান তবিবরকে দোকানের তালা ভাঙ্গার বিষয়টি অবগত করে তরিকুল মেম্বার, বাবুল, শাহ আলম মেম্বার, সাহেব আলীসহ আরো ১০-১২ জনের একটি দল ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর আতর্কিত হামলা চালায়।
সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ জানান, ‘আমরা উপজেলা নির্বাচনে দোয়াত কলম মার্কার প্রার্থী সোহারাব হোসেনের জন্য ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ভোট প্রার্থনা করে গোগা বাজারে এসে জসিমের দোকানে বসে ছিলাম। আমাদের পক্ষে দিন দিন জনসমর্থন দেখে তবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী সহ্য করতে না পেরে আতর্কিত হামলা চলিয়েছে। আমাকেসহ আমার পাঁচ ছয় নেতাকর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বতর্মান চেয়ারম্যান তবিবুর রহমান জানান, খাস জমির উপর ঘর করে আওয়ামী লীগের অফিস তৈরি করে নির্বাচনী কার্যালয় করেছিল। পরবর্তীতে সেটি দোকান ভাড়া দেয় অন্যের কাছে। এখন আবার দোকানদারকে নামিয়ে নির্বাচনী কার্যালয় তৈরি করার জন্য দোকান খুলছিল। এমন মুহূর্তে আমার ছেলেরা যে জিজ্ঞাসাবাদ করে এক পর্যায় উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়ে মারামারি সৃষ্টি হয়।
নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, এ ঘটনায় রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে। গোগা ও ভুলোট এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আসামি ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
