ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ৮ম ধাপের ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে শেখড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্বতন্ত্র (মোটরসাইকেল প্রতীক) চেয়ারম্যান প্রার্থী ফারুক হোসেন বিশ্বাস।
এ ঘটনার পর নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে উত্তপ্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সাধারণ ভোটররা। পঞ্চম ধাপে শৈলকুপায় ১২টি ইউনিয়নে গত ৫ জানুয়ারী নির্বাচন শেষ হয়েছে। এরপর সপ্তম ধাপে আগামী ৭ ফেব্রুয়ারী মনোহারপুর ও অষ্টম ধাপে ১০ ফেব্রুয়ারী এই দুইটি ইউনিয়নে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে মনোহারপুর ইউপিতে নৌকা মনোনীত প্রার্থী জাহিদুল ইসলাম জাহিদ নিবা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
অপরদিকে, নিত্যানন্দপুর ইউপিতে মফিজ উদ্দিন নৌকা প্রতীক, বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বিশ্বাস মোটরসাইকেল প্রতীক ও সাফিয়া খাতুন আনারস প্রতীক নিয়ে ভোট যুদ্ধে লড়াই করছেন। নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন বিশ্বাসের অভিযোগ, মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারী) প্রতীক বরাদ্ধের পর থেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মফিজ উদ্দিন বিশ্বাসের সমর্থক উপজেলা যুবলীগ সভাপতি শামীম মোল্লার নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দিয়ে এলাকায় সাধারণ ভোটারদের ভয় ভীতি দেখাচ্ছেন। তারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকের পক্ষে ভোট করতে কেউ মাঠে নামলে তাদের হাত-পা ভেঙ্গে ফেলাসহ বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের হুমকিও দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গোপালপুর গ্রামের সামাজিক মাতব্বর নেকবার হোসেন ও তার কর্মী আবু সুফিয়ানের বাড়িতে গিয়ে হুমকি ধামকি দিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে আমি সঠিক বিচার চেয়ে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠ পরিবেশ বজায় রাখতে শৈলকুপা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তিনি বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতে আমার মোটরসাইকেল মার্কার অফিস ভাঙচুর করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ নীরব ছিল।
শেখরা বাজার ও গোপালপুর গ্রামের সাধারণ ভোটাররা জানান, বিকালে চায়ের দোকানে বসে ছিলাম। এমন সময় নৌকার শ্লোগান দিতে দিতে ২০/২৫ জন এসে নৌকার বিপক্ষে কাজ না করা জন্য ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর তারা শেখরা বাজারে গিয়ে মোটরসাইকেলের অফিস ভাঙচুর করে।
এসব সম্পর্কে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মফিজ উদ্দিন বিশ্বাস জানান, অফিস ভাঙচুরের ব্যাপারে এখনও আমি নিশ্চিত হতে পারছি না। উল্টো আমার কর্মী শামীম হোসেন মোল্লা গাড়িতে করে যাচ্ছিল। সেসময় মোটরসাইকেল সমর্থকেরা তার উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। সেই ইট এসে শামীম হোসেন মোল্লার পায়ে লাগে। এ সময় নিজেরা তাদের অফিস ভাঙচুর চালিয়ে আমাকে মিথ্যা দোষারোপ করছে।
এ ব্যাপারে শৈলকুপা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি শামীম হোসেন মোল্লার সাথে মোবাইল ফোনে বার বার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন ধরেননি। ছাত্রলীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সাবেক সভাপতি দিনার বিশ্বাস জানান, আমার কোন নেতাকর্মী নিত্যানন্দপুর ইউনিয়নে যায়নি। কাউকে ভয়ভীতি দেখায়নি। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।