নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদার এমপি বলেছেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাসীর দল। আগুন সন্ত্রাসী করে যারা মানুষের জীবন কেড়ে নেয় তাদের জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। বিষয়টি বিএনপি বুঝতে পেরেই নির্বাচন আসলে তারা নির্বাচনে যেতে ভয় পায়। বিএনপি ভোটের মাধ্যমে না তারা বিদেশিদের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চায়। ষড়যন্ত্রের অংশ হিসাবে জামাত বিএনপি যশোরে গান পাউদার নিয়ে রাজনীতি করলে তাদের পরিণতি কতটা ভয়বহ হবে তা দেখিয়ে দিবে আওয়ামী লীগ।
আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের দড়াটানা ভৈরব চত্বরে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যেকালে তিনি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে এই আলোচনা সভায় যোগ দেন জেলা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ। এর আগে দুপুর থেকে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড মিছিলসহকারে নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন সমাবেশ স্থল দড়াটানাতে। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে বাজানো হয় বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ।
শাহীন চাকলাদার বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এসে রাজাকারদের গাড়িতে এই বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন। লাল সবুজের ওই পতাকা জামায়াত বিএনপি খামছিয়ে ধরেছিলেন। বারবার পতাকাকে কলঙ্কিত করা বিএনপিকে আর এ দেশের জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তাই বলতে চাই নির্বাচন এসেছে প্রস্তুতি নেন জনগণের কাছে ক্ষমা চেয়ে। আন্দোলনের নামে কোন ষড়যন্ত্র মেনে নিবে না আওয়ামী লীগ। আমাদের রক্ত দিতে শিখিয়ে বঙ্গবন্ধু। রক্ত দিয়ে তিনি এই দেশ উপহার দিয়েছে। আমাদের সময় এসেছে বঙ্গবন্ধু রক্তের ঋণ শোধ করার। আসছে নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনার মধ্যে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করতে হবে। তাই আমরা ঐক্যবন্ধ থেকে যশোরের সকল আসন শেখ হাসিকে উপহার দিতে একসাথে লড়ে যাবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলনের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত হয়ে সমগ্র বাঙালি জাতি স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। ৭ মার্চের ভাষণের তাৎপর্য আমাদের গভীরভাবে অনুধাবন করতে হবে। এ ভাষণের গুরুত্ব সম্পর্কে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানাতে হবে।
যশোর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহমুদ হাসান বিপুর সঞ্চলনায় এসময় বক্তব্য রাখেন সাবেক গণপরিষদ সদস্য মঈনুদ্দীন মিয়াজী, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর জহুরুল হক, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহিত কুমার নাথ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ, জেলা মহিলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক জ্যোৎন্না আরা মিলি, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন রাজীব, সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ বিপুল প্রমুখ।