নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ যশোরে নকল ফেনসিডিল তৈরির তথ্য প্রদানকারী সন্দেহে চঞ্চলকে ছুরিকাঘাতের পর এবার তার ভায়রা সাদ্দাম হোসেনকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। রবিউল ইসলাম বুধবার বিকেলে মোবাইল ফোনে সাদ্দামকে বলেছেন চঞ্চলের পর এবার তোর পালা। এ ঘটনায় তাদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। তাকে দ্রুত আটক করা না হলে এলাকায় খুনখারাবি বেড়ে যেতে পারে আশঙ্কায় করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, ষষ্ঠীতলা বুনোপাড়ার মৃত শফি মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম পোশাদার একজন মাদক কারবারী। প্রশাসনের লোকজনের সাথে রবিউল ইসলামের রয়েছে দহরম-মহরম। সদর ফাঁড়ির একজন এটিএসআই, কোতোয়ালি থানার একজন এসআই ও একজন এএসআই, একজন কনস্টেবল এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অদিদপ্তরের একজন উপপরিদর্শক পদ মর্যাদার কর্মকর্তাদের সোর্স পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরণের মাদকের কারবার করে আসছিল। অভিযোগ রয়েছে কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অভিযানে জব্দ করা ফেনসিডিল, ইয়াবা ও গাঁজা সোর্সের প্রাপ্য রবিউল নিয়ে বিক্রি করে। তাছাড়া অনেক কর্মকর্তা অভিযানে জব্দ করার পরেও বেশ কিছু আত্মসাৎ করে থাকেন। জব্দকৃত সেই আত্মসাৎ করা মাদক রবিউলের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। ফলে রবিউল নকল ফেনসিডিল তৈরি করে এবং কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন অসহায় ও নিরীহ লোকজনদের ধরে মামলা দেয়ায়।
এদিকে, গত সোম ও মঙ্গলবার পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এতে করে রেলগেট পশ্চিমপাড়ার শহিদুজ্জামান সেলিম চঞ্চল পুলিশকে রবিউলের বিরুদ্ধে তথ্য দিয়েছে বলে সন্দেহ করে। এর জের ধরে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরে ষষ্ঠীতলা প্রাইভেটকার স্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন চঞ্চল। তখন রবিউলের নেতৃত্বে কয়েকজন সন্ত্রাসী চঞ্চলকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে।
পরদিন বুধবার বিকেল তিনটার দিকে চঞ্চলের ভায়রা সাদ্দাম হোসেনের ব্যবহৃত মোবাইলে রিং করে রবিউল। এসময় রবিউল তাকে বলেছে চঞ্চলের ব্যবস্থা করেছি। এবার তোকে দেখে নেবো। এছাড়া সাদ্দামের একটি মামলায় আদালত থেকে বুধবার জামিনে মুক্তি পান। জামিনে মুক্তি পাওয়া রি-কলটি সদর ফাঁড়ির এটিএসআই জসিমকে দিতে বলেছে। কিন্তু সাদ্দাম রি-কলটি থানায় দেয়ার কথা বলার পর আরো ক্ষিপ্ত হয় রবিউল।
এদিকে চঞ্চলকে ছুরিকাঘাতের ঘটনার একদিন পার হলেও রবিউলকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। ফলে এলাকার সাধারণ মানুষ রবিউলের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের আতংকিত হয়ে পড়েছে।
এই ব্যাপারে চাঁচড়া ফাঁড়ি ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আকিকুল ইসলাম বলেছেন, রবিউলকে আটকের জন্য পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।