নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরে দুই শতাধিক কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে সার, বীজ ও কীটনাশক বিতরণ করেছে এনসিসি ব্যাংক। শনিবার সকালে আরআরএফ সেন্টারে অনুষ্ঠিত বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান।
এনসিসি ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাফাত উল্লাহ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সার-বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা ফরিদ আহমেদ চৌধুরী, রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাইন্ডেশনের (আরআরএফ) নির্বাহী পরিচালক ফিলিপ বিশ্বাস, এনসিসি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শামসুল আরেফিন ও রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান লাইফ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, এক সময় দেশে কৃষকরা সার, বীজের জন্য আন্দোলন করতেন। কিন্তু এখন সরকার সার, বীজ ও কীটনাশক ভুতুর্কি মূল্যে কৃষকদের মধ্যে সরবরাহ করছে। যেকারণে করোনাকালে আমরা খাদ্য বির্পযয় দেখেনি। বর্তমান ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে সারা বিশ্বের মানুষ অর্থনৈতিক ও খাবারের কষ্ট ভোগ করলেও বাংলাদেশ তা করছে না। এর কারণ হলো দেশে কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হওয়ায় কৃষকরা তাদের ফসল আবাদ করেছেন। ফসলের উৎপাদন বাড়িয়েছেন। অনেকে মনে করেছিল শ্রীলংকার মতো হতে পারে আমাদের দেশ। কিন্তু সেই সংকট থেকেই উত্তরণ ঘটিয়েছেন দেশের কৃষক। বর্তমানে অনেকে টপসয়েল নিয়ে যাচ্ছে। এটা মাটির উর্বরা শক্তিকে নষ্ট করে। এজন্য কৃষকদেরকে সচেতন হতে হবে। কেউ মাটির টপ সয়েল বিক্রি করলে প্রশাসনকে জানাবেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এনসিসি ব্যাংক সিএসআরের অর্থে বিনামূল্য কৃষকদের সার, বীজ বিতরণ করেছে। এটা প্রশংসার দাবি রাখে। করোনাকালেও তারা যশোরে সহায়তা করেছিল। এখন চলছে রমজান মাস। এই মাসে মানুষের কষ্ট যাতে না হয় সেজন্য বাজারে তদারকি বাড়িয়েছি। কেউ বেশি দাম নিলে বা প্রতারণা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সার, বীজ ও কীটনাশক পাওয়া রামনগরের রাশেদা বেগম বলেন, আমরা ২৪ কেজি ৪ প্রকার সার, কীটনাশক ও সবজি-পাটবীজ পেয়েছি। এটা পেয়ে আমাদের খুব উপকার হলো। এই সার বীজ দিয়ে আমরা ফসলের আবাদ করতে পারব।
