নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ যুব জাতীয় দল ও যশোর জেলা দলের সাবেক ফুটবলার পিয়ারুজ্জামান পিরুকে হয়রানি করার জন্য ষড়যন্ত্রমূলক হত্যা মামলা দেয়া হয়েছে। বুধবার সকালে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে যশোর সোনালী অতীত ক্লাব ও যশোর জেলা ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির ব্যানারে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা হত্যা মামলার নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে সোনালী অতীত ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ হালিম রেজা বলেন, পিয়ারুজ্জামান পিরু একজন কৃতি ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলেছেন। এছাড়া ঢাকার আরামবাগ, মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব, ফেনি সকার ক্লাব, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবসহ বেশি কিছু ক্লাবে হয়ে দেশে ও দেশের বাহিরেও খেলেছেন। পিরু খেলাধুলা থেকে অবসার নিয়ে বর্তমানে যশোরে সফল মৎস্য ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন।
গত ২৪ মার্চ বিকেলে শহরের পুরাতন কসবা গোলামপট্টিতে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত হন ইজিবাইক ব্যবসায়ী আলম। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২৭ মার্চ ভোরে তিনি মারা যান। আলম হত্যা মামলার ৭নং আসামী করে পিরুকে আটক করা হয়েছে। কিন্তু ২৪ মার্চ ঘটনার সময় সে মাছ ধরার কাজে ব্যস্ত ছিল। সে এই মামলার সাথে কোন ভাবেই জড়িত থাকতে পারে না। একজন খেলোয়াড় কোন ভাবেই হত্যার মতো ঘৃণিত অপরাধে নিজেকে জড়াতে পারে না। ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আমরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কাছে অনুরোধ করছি সঠিক বিচারে মাধ্যমে দোষীদের আটক করা হক এবং নির্দোষ পিয়ারুজ্জামান পিরুকে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি এবিএম আখতারুজ্জামান, সাবেক ফুটবল খেলোয়াড় সোহেল আল মামুন নিশাদ, সেলিম রেজা, জয়নাল আবেদীন, পিরুর স্ত্রী রুমানা আক্তার মলি, মাতা রাশিদা বেগম প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড় জীবনে পিরুর বিভিন্ন সাফল্যর স্মারক দেখানো হয়।