নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেছেন, সংস্কার না হয়ে নির্বাচন হলে বিগত সরকারের মতো চোর ডাকাতরা নির্বাচিত হবেন। তাই আগে দেশের রাজনৈতিক ও শিক্ষাব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় সংস্কার করতে হবে। উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংস্কারের নামে সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহর মাঠে যশোর জেলা শিক্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, এখন থেকেই বহু লোক ডাকাতি চুরি করার পাঁয়তরা শুরু করেছে। তারা নির্বাচিত হলে বিগত সরকারে যেমন চুরি ডাকাতি হয়েছে, আবারও সেই অবস্থার সৃষ্টি হবে। তাই আগে সংস্কার, তার পরে নির্বাচন। কিন্তু একটি পক্ষের কথা হলো, যে করেই হোক নির্বাচন হতে হবে। স্বেরাচারী শাসকের মতো আবারও সেই নির্বাচন হয় তাহলে নির্বাচনের দাম নেই বলেও প্রশ্ন তোলেন এই শিক্ষক নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য।
তিনি আরো বলেন, বিগত সময়ে পাতানো নির্বাচনে অনেক শিক্ষকেরা জড়িত। পাতানো নির্বাচনে শিক্ষকদের সাক্ষর করতে বাধ্য করা হয়েছিলো, শতকরা ৪ থেকে শতাংশ ভোট পড়লেও, লিখতে বলেছে ৪১ থেকে ৪৫ শতাংশ। সেই সময়ে চাকরি বাঁচাতে বাধ্য হয়ে তাদের লিখতে হয়েছে। শাসক যদি চোর হয় সেই জমিনে যারা বসাবাস করবে; তারাও চোর হবে। এসময় অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপস্থিত শিক্ষকদের হাত উঁচু করে আগামি নির্বাচনে দায়িত্বরত প্রিজাইজিং কর্মকর্তাদের সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার অঙ্গীকার করেন।
শিক্ষক ফেডারেশনের যশোর জেলার সভাপতি অধ্যাপক আবুল হাশিম রেজার সভাপতিত্বে এবং জামায়াতে ইসলামীর যশোর জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মনিরুজ্জামানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আর্দশ শিক্ষক ফেডারেশন জেনারেল সেক্রেটারি অধ্যাপক এ বি এম ফজলুল করীম, যশোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চলের শিক্ষা উপদেষ্টা ড. আলমগীর বিশ্বাস, মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সহসভাপতি শাহাজান মাদানী, মাধ্যমিক স্কুল পরিষদের সভাপতি নূর-ই-আলী নুর মামুন এবং কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি রবিউল ইসলাম, মদনপুর সম্মিলনী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ড. শফিকুল ইসলাম, আল হেরা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি বক্তব্যে জামায়াতের যশোর জেলা আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, বিগত সরকার ইসলামপন্থী শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করেছে, জুলুম চালিয়েছে। এখনও অনেকে চাকরিতে ফিরে যেতে পারেননি। তাদের দ্রুত পুনর্বহাল করতে হবে। শিক্ষার নামে যদি সমকামিতাকে উৎসাহিত করা হয়, বা ধর্মহীনতা প্রচার করা হয় জামায়াত তা কখনও মেনে নেবে না। পতিত আওয়ামী লীগ সরকার দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। তাই এখন একটি নৈতিক ও ইসলামী চেতনার শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা সময়ের দাবি।
