নিজস্ব প্রতিবেদক
ধরপাকড়ের মধ্যেও শনিবার যশোরে বড় শোডাউন করেছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্তসহ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল তারা জেলা পর্যায়ে পদযাত্রা করেছে। যশোরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচির আগের রাতে ৩৬ নেতাকর্মীতে গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাতে সদর ও চৌগাছায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করারও অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা।
এদিকে ধরপাকড় আর অভিযানের মধ্যে দিয়ে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে শাস্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করেছে জেলা বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুকের নেতৃত্বে হাজার হাজার নেতাকর্মী পদযাত্রায় বের হন। পদযাত্রাটি টাউন হল ময়দান থেকে বের হয়ে মাইকপট্টি, চৌরাস্তা হয়ে রবীন্দ্রনাথ সড়ক (আরএন রোড) পর্যন্ত যায়। সেখানে পুলিশ শেষ করার নির্দেশনা দিলে পদযাত্রাটি আবার বিএনপি কার্যালয়ে ফিরে শেষ হয়। এর আগে, টাউন হল ময়দানে গণজমায়েত করেন নেতাকর্মীরা। গণমায়েতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা কর্মসূচি কবরে থাকা মানুষের ভোট, রাতের ভোট বন্ধ করতে। সরকারের বিরুদ্ধে জনমত গড়ে উঠেছে। যে কারণে সরকার ভূত দেখার মত ভয় পেয়েছে। তাই তারা জোরে জোরে কথা বলে। তিনি আরো বলেন, সংসদ ভেঙ্গে নির্বাচন তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। আওয়ামী লীগের দেওয়া এই নির্বাচন কমিশন মানি না। জনগণকে সাথে নিয়ে বিএনপি জেগেছে। দেশের মানুষকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগকে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে।
আরও পড়ুন:নিজের নয়, জনগণের ভাগ্য গড়তে এসেছি: প্রধানমন্ত্রী
যশোর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগমের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু, নির্বাহী সদস্য সাবেরা নাজমুল মুন্নী, যুবদলের সহসভাপতি তরিকুল ইসলাম বনি, সাবেক স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান কবির প্রমুখ। এছাড়া পদযাত্রা কর্মসূচিতে জেলা বিএনপিসহ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়।
নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার বিষয়ে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, পুলিশ কর্মসূচির আগের রাতে অভিযান চালিয়েছে। নেতাকর্মীদের মধ্যে ভিতকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে ৩৬ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে। এর মধ্যে ৩৩ জন সদরে ও বাকী তিনজন চৌগাছায়। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় বাড়ি বাড়ি তল্লাশি করেছে। সবকিছুর মধ্যেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষ করেছে জেলা বিএনপি।
বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত জানান, গত ১৪ বছর ধরে আমাদেরকে পুলিশ দিয়ে কর্মসূচি পালনে বাধা দেয়া হচ্ছে। গতকালও পুলিশ আমাদের কর্মীদেরকে আটক করেছে। কিন্তু শত বাধার মধ্যেও মানুষ সরকারের অত্যাচারের প্রতিবাদ করতে বিএনপির সাথে মাঠে নেমেছে। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) বেলাল হোসাইন বলেন, বিএনপির অভিযোগ সত্য নয়। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা রয়েছে। শুধুমাত্রই তাদেরকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:ডা. রাজ্জাক কলেজের রজতজয়ন্তী উৎসবে সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা
