চৌগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা যশোরের চৌগাছা উপজেলার সীমন্তবর্তী সাত গ্রাম নিয়ে দুই উপজেলার মধ্যে রশি টানাটানি চলছে চার দশক ধরে। এতে করে ভোগন্তির শিকার হচ্ছে বিশ্বনাথপুর, শ্যামনগর, কমলাপুর, আলিশা, যদুনাথপুর, রাড়িপাড়া ও পাঁচবাড়িয়া এই সাত মৌজায় বসবাসকারি প্রায় ২০ হাজার মানুষ। সর্বশেষ এখানকার বাসিন্দাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে নিকার বৈঠকে যশোর জেলায় অন্তর্ভুক্তের সিদ্ধান্ত হলে কিছু মানুষ উচ্চ আদালতে আপিল করেন।
ওই আপিলের প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গণশুনানীর জন্য বিভাগীয় কমিশনার খুলনাকে দায়িত্ব দেন। যার প্রেক্ষিতে বুধবার সকাল ১০ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চৌগাছা উপজেলা হল রুমে সাত গ্রামের মানুষের উপস্থিতিতে গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন খুলনার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) আব্দুর রশিদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা, উপজেলা চেয়ারম্যান ড. মোস্তানিছুর রহমান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইসতিয়াক আহমেদ, নির্বাচন কর্মকর্তা সেলিম উদ্দীন, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান, উপজেরা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুজ্জুমান, প্রেসক্লাব চৌগাছার সভাপতি অধ্যক্ষ আবু জাফর, ১১ নং সুখপুকুরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান হবি, সিংহঝুলি ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হামিদ মল্লিক, নারাণয়পুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শাহিনুর রহামান, স্বরুপদাহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নুরুল কদরসহ সাত গ্রামের মানুষ, সংবাদ কর্মী ও উপজেলার সকল কর্মকর্তাগণ।
শুনানির সময় বিভাগীয় কমিশনার সাত গ্রামের প্রত্যেকটি নাগরিকের বক্তব্য লিখিতভাবে সংরক্ষণ করেন। এবং যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন তিনি সকলকে প্রতিশ্রতি দেন ।
গণশুনানির সময় পাঁচবাড়িয়া গ্রামের বকুল, রাশেদুল, রাড়িপাড়া গ্রামের পান্নু মিয়া, ফরজান, শ্যামনর গ্রামের আব্দুল মালেক, কমলাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলাম, বলেন, আমরা ৭ গ্রামের মানুষ বিভিন্ন দাপ্তরিক কাজসহ চাকরি প্রত্যাশী ছেলে মেয়েদের চাকরির আবেদনে এবং চাকরির মৌখিক পরীক্ষায় ঠিকানা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। শিক্ষা, চিকিৎসা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল কাজে সাত গ্রামের মানুষের যশোর জেলার চৌগাছাতেই সুবিধা বেশি। তাই আমাদের দাবি পৃথক একটি নতুন ইউনিয়ন করে ঝিনাইদহ মহেশপুর থেকে আমাদেরকে যশোর জেলার চৌগাছা উপজেলার অন্তর্ভুক্ত করা হোক।
উল্লেখ্য, এই সাত গ্রামের প্রশাসনিক দায়িত্ব মহেশপুর উপজেলায় এবং সেচ-বিদ্যুৎ ও শিক্ষা চৌগাছা উপজেলার নিয়ন্ত্রণে।