পিবিআই’র অভিযানে একজন আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক: পূর্ব বিরোধের জের ধরে মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লা নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার পানিপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক মোল্লার ছেলে। গোপালগঞ্জ জেলার চরতালা গ্রামের তরিকুল ইসলাম ওরফে আতিকুর ইসলামের ছেলে সজীব শেখকে (৩২) আটকের পর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সদস্যরা (পিবিআই) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেন। মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বাইপেল শিমুলতলা থেকে পিবিআই সজীবকে আটক করে।
২০১৫ সালের ১ মে রাতে খুন হয় মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লা। ৭ বছর পর পাচু মোল্লা হত্যার রহস্য উদঘাটন করলো পিবিআই। পাচু মোল্লা হত্যার পর ভাই মিজানুর রহমান ২৫ জনকে আসামি করে নড়াগাতি থানায় ৫ মে ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেছিলেন। নড়াইল জেলা পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে। এক পর্যায়ে মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম সিআইড পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে সিআইডি ১৬ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট করে। বাদী না রাজি দেয়ায় অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ দেয়। আদালতের নির্দেশে পিবিআই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে পরিদর্শক দেবাশীষ মন্ডলের উপর দায়িত্ব দেয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক দেবাশীষ মন্ডল জানান, আটক সজীব শেখ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে শরিফ, কাজল ও সালাইসহ অন্যরা পাচু মোল্লাকে পুটিমারি বাজার থেকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লাকে কুপিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। মামুন মোল্লা ওরফে পাচু মোল্লাকে হত্যার পর মৃতদেহ গুম করার উদ্দেশ্যে পেট ফেড়ে, হাত-পা বেধে তার পরিহিত লুঙ্গির মধ্যে ইট বেধে সজীব শেখের নৌকায় করে মধুমতি নদীতে ফেলে দেয়। বুধবার নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল রানার আদালতে সোপর্দ করা হলে আটক সজীব ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দি প্রদান করে।