সাতক্ষীরা জেলা প্রতিনিধি
সাতক্ষীরায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক কলেজ শিক্ষক ও এক কর্মজীবী নারীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার সকালে সাতক্ষীরা- খুলনা সড়কের বিনেরপোতা ও শনিবার সন্ধ্যায় কলারোয়ার দমদম বাজারের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, তালা উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের আল আমিনের স্ত্রী মরিয়ম খাতুন (৩০) ও কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের নাথপুর গ্রামের ইছহাক সরদারের ছেলে মফিজুল ইসলাম (৫৫)। মরিয়ম খাতুন সাতক্ষীরা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারি ও মফিজুল ইসলাম কলারোয়া শেখ আমানুল্লাহ ডিগ্রী কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক।
তালা উপজেলার একটি বেসরকারি সংস্থার ব্যবস্থাপক আল আমিন জানান, মোটরসাইকেলে স্ত্রী মরিয়মকে নিয়ে রবিবার সকাল পৌনে ১০টায় তিনি বাড়ি থেকে স্ত্রীর কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হন। একপর্যায়ে বিনেরপাতা এলাকায় পৌঁছালে হঠাৎ মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তারা পড়ে যান। এতে তার স্ত্রী ঘটনাস্থলে মারা যান। তাকে আহত অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও পরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অপরদিকে শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি নাথপুর থেকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশে নিজ বাড়িতে মোটরসাইকেলে আসছিলেন কলেজ শিক্ষক মফিজুল ইসলাম। পথিমধ্যে দমদম বাজারের পাশে একটি মাটিবহনকারি ডাম্পার ট্রাক তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা মারে। মারাত্মক জথম অবস্থায় তাকে প্রথমে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে এলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত মফিজুল ইসলাম শিক্ষকতার পাশাপাশি কলারোয়া বাজারে সার ও কীটনাশকের ব্যবসা করতেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহিদুল ইসলাম জানান, পুলিশ খবর পাওয়ার আগেই মরিয়মের লাশ তার স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, রবিবার দুপুরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে ময়না তদন্ত শেষে মফিজুল ইসলামের মরদেহ তার স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
