নিজস্ব প্রতিবেদক
যশোরের শার্শা উপজেলা সার ও বীজ মনিটরিং কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাক্তার কাজী নাজিব হাসান। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দীপক কুমার সাহা, সমবায় অফিসার আব্দুর রাশেদ, যুবউন্নয়ন অফিসার গোলাম ফারুক, শার্শা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তদন্ত শাহ আলমসহ ২৯ জন সার ডিলার। এর মধ্যে ১৯ জন ডিলার সার ব্যবসায়ী ও ১০ জন বিএডিসির ডিলার।
সভার আলোচনায় উঠে আসে, ১৯৯৪ সাল থেকে শার্শা উপজেলায় ১৯ জন ব্যবসায়ী সরকারি সুবিধা নিয়ে ভুর্তকির সারের ডিলারি করে আসছেন। যার মধ্যে ৭ জন ব্যবসায়ী দুই নামে একই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ডিলারি করে আসছেন। যা অনৈতিক সুবিধার মধ্যে পড়ে।
সূত্রে জানা গেছে, শার্শার ১৯ জন ডিলারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী অভয়নগরের নওয়াপাড়া, নড়াইল, যশোর ও খুলনার লোক। যে কারণে তাদের নিয়োগকৃত শার্শা উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে সাব ডিলারের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ সার কৃষকের কাছে বিক্রি করলেও অবশিষ্ট সার কালো বাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। যে কারণে ডিলাররা সরকার থেকে ভর্ভুকির কম মূল্যে সার ক্রয় করে প্রকৃত চাষিদের না দিয়ে কালো বাজারে বেশি দামে সার বিক্রি করে অধিক মুনাফা লাভ করে আসছে। তাছাড়া প্রতি ওয়ার্ডের সাব ডিলাররা কৃষকের নামে ভুয়া রেজিস্ট্রার তৈরি করে বেশির ভাগ সার স্থানীয় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। যা গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মনিটরিং ও সঠিক তদারকি না থাকায় ডিলাররা সিংহভাগ সার কালো বাজারে বিক্রি করে অবৈধ অর্থ উপার্জন করেছে। বিষয়টি তদন্ত প্রয়োজন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডা. কাজী নাজিব হাসান বলেন, শার্শা উপজেলার সরকারি ভুর্তকির সার ডিলারদের কর্মকা- মনিটরিংয়ের জন্য সভা আহ্বান করা হয়েছিল। সভায় দেখা যায় শার্শায় সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত ১৯ ডিলারের মধ্যে একই পরিবারের ৭ ব্যক্তির ১৪টি ডিলার রয়েছে। অনেকে মারা গেলেও তাদের নামে ডিলারি চলছে। তিনি বলেন বিষয়টি সঠিকভাবে মনিটরিং করে জেলা পর্যায় পাঠানো হবে। পরবর্তীতে সরকার এ বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানান তিনি।