জাহাঙ্গীর আলম
অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তারকে ঘিরে আনন্দে ভাসছেন যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের শিক্ষার্থীরা। প্রিয় অধ্যক্ষ সরাসরি ভোটে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) সিনেট সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় তাদের এই আনন্দ। কেউ ফেসবুকে স্ট্যাটাস আবার কেউ ফুল নিয়ে অধ্যাপক মর্জিনা আক্তারকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। বুধবার সকালে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন আরিফুল হুচাইন আরিফ, অহিদুল ইসলাম রাব্বি, রাজু আহম্মেদ, মনিরুল ইসলাম, ইনামুল হোসেন, শাহিন আলম, রবিউল ইসলাম, সেলিম পারভেজ, শামিম রেজা, মাজেদুল ইসলাম, অনিক ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, আগামী ২ বছরের জন্য যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ২২ (১) ডি এবং ১৯ (১) জি ধারা অনুযায়ী একাডেমিক কাউন্সিলে কলেজ অধ্যক্ষদের মধ্য থেকে নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ২ জন সিন্ডিকেট ও ৫ জন সিনেট সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।

এতে ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ প্যানেল থেকে নির্বাচিত ২ জন সিন্ডিকেট সদস্য হলেন, ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউসুফ (১৬৩ ভোট) এবং তেজগাঁও কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হারুন অর রশিদ (১৫৫ ভোট)।
এছাড়া একই প্যানেল থেকে নির্বাচিত ৫ জন সিনেট সদস্য হলেন, রশিদাজ্জোহা সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. খাদেমুল ইসলাম (১৬১ ভোট), যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার (১৫৮ ভোট), শহীদ বুলবুল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বাহেজ উদ্দিন (১৫১ ভোট), আনন্দ মোহন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক আমান উল্লাহ (১৪৮ ভোট), বেগম রোকেয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক চিন্ময় বাড়ৈ (১৩২ ভোট)।
মঙ্গলবার জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট হলে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর দেড়টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং দুপুর তিনটার দিকে ভোট গ্রহণ শেষ হয়। এরপরে একটি অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশন শেষে রাত সাড়ে সাতটার দিকে ভোট গণনা শুরু হয় এবং সাড়ে আটটার দিকে ভোট গণনা শেষ হয়। ভোট গণনা শেষে সিনেট হলে নির্বাচনের ফল প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও নির্বাচনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা আবু হাসান। নির্বাচনে ৩৪৬ জন ভোটারের মধ্যে ২৮৬ জন ভোট দেন। সিন্ডিকেটে ২টি পদের বিপরীতে ৫ জন এবং সিনেটে ৫টি পদের বিপরীতে ১১জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
এদিকে এবারের সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য নির্বাচনে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগপন্থী শিক্ষকদের একটি অংশ ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারে একটি প্যানেলে অংশ নেন। অন্যদিকে, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের শিক্ষক পরিষদ’ ব্যানারের আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের আরেকটি অংশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএনপিপন্থী শিক্ষকেরা জোট করে ‘শিক্ষক ঐক্য পরিষদ’ নামে একটি প্যানেল দেন। নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের ব্যানারে নির্বাচন করা সাতজনই নির্বাচিত হন।
জানা যায়, সর্বশেষ ২০১৮ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজ অধ্যক্ষ ক্যাটাগরিতে সিনেট ও সিন্ডিকেট প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দুই বছর পর পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও ছয় বছর পর এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
