নিজস্ব প্রতিবেদক
রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ প্রকাশ্যে জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের যশোর জেলা শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার সকালে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। এসময় বক্তব্য রাখেন স্বাচিপ যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক ডা. এম এ বাশার, বিএমএর যশোর জেলা শাখার সভাপতি ডা. এ কে এম কামরুল ইসলাম বেনু, স্বাচিপ এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. ইয়াকুব আলী মোল্লা, যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মহিদুর রহমান, যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন অর রশীদ, আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আব্দুস সামাদ প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন স্বাচিপ এর সদস্য সচিব ডা. গোলাম মোর্তুজা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে যে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেটির নিন্দা জ্ঞাপনের ভাষা আমাদের জানা নেই। তাদের এ হুমকির বক্তব্য শুধু জেলা পর্যায়ের একজন নেতার বক্তব্য নয়, এটি গভীর ষড়যন্ত্রের একটি অংশ। এর মধ্যদিয়ে তাদের নীলনকশা প্রণয়ন ও সেই কার্যক্রম শুরু করারই একটি ইঙ্গিত। যে ব্যক্তিটি বঙ্গবন্ধুকন্যাকে এ ধরনের ন্যক্কারজনক ভাষায় হত্যার হুমকি দিয়েছে তা ক্ষমার অযোগ্য। শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রতীক, কাজেই তাকে হত্যা করে এদেশকে আবার পেছনে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা যারা করছে তাদের কোনো ক্ষমা নেই। প্রয়োজনে আমরা জীবন দিয়ে হলেও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সুরক্ষার চেষ্টা করে যাবো। যে ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দিয়েছেন, এটা শুধু তার একার কথা নয়। একটা রাজনৈতিক দলের ভাষা হলো এটি। তাই রাজনৈতিক দলকে নিয়েও চিন্তা করতে হবে। এ রাজনৈতিক দলটাকে নিয়ে সরকার ও জনগণকে ভাবতে হবে। এমন একটা দলের রাজনীতি করার সুযোগ আছে কিনা তা নিয়ে ভাবার সময় এসেছে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, যমেক ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদত হোসেন রুমেল, ইজিপের সাধারণ সম্পাদক ডা. সাইদুর রহমান, যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের ২য় শ্রেণি কর্মচারী সমিতির পক্ষ থেকে উপসেবা তত্বাবধায়ক ফেরদৌসী রহমান, ৩য় শ্রেণীর সাধারণ সম্পাদক শাহাজাহান আলী, ৪র্থ শ্রেণি কর্মচারী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদসহ স্বাচিপের সদস্য ও হাসপাতালের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং নার্সগরা।