নিজস্ব প্রতিবেদক
শুক্রবার বিকেলে যশোর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে শহরের জজকোর্ট চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় মজলিসে সূরা সদস্য ও যশোর জেলা জামায়াতের আমির এবং যশোর-৪ (বাঘারপাড়া-অভয়নগর) আসনে সংগঠনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক গোলাম রসুল।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক গোলাম রসুল বলেন, দেশের মানুষ এখন প্রকৃত গণতন্ত্র চায়, যেখানে জবাবদিহি থাকবে এবং নাগরিকের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হবে। জামায়াতের ঘোষিত পাঁচ দফা দাবি হলো জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন।
জাতীয় নির্বাচনে উভয় কক্ষে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা। ফ্যাসিস্ট সরকারের জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা। স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিক, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস, মাওলানা রেজাউল করিম, অধ্যাপক মনিরুল ইসলাম, জেলা প্রচার সেক্রেটারী শাহাবুদ্দিন বিশ^াস, শহর আমির অধ্যাপক শামসুজ্জামান, জেলা কর্মপরিষদের সদস্য অধ্যাপক আবুল হাসেম রেজাসহ জেলার নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ আর প্রহসনের নির্বাচন দেখতে চায় না। জনগণ তাদের রক্তের বিনিময়ে গণতন্ত্রের পথ সুগম করেছে। এখন সেই অর্জনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে হবে। পিআর পদ্ধতির নির্বাচন ছাড়া জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত হবে না। এই দাবি বাস্তবায়ন করতে না পারলে ন্যায়ভিত্তিক গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। আমরা গণআন্দোলনের ধারাবাহিকতায় এগিয়ে যাচ্ছি। জনগণের দাবি আদায়ের জন্য জামায়াত ঐক্যবদ্ধভাবে সংগ্রাম করছে এবং করবে।
বক্তারা আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতির বিচার না হলে জনগণের আস্থা ফিরে আসবে না। আমরা দৃশ্যমান বিচার চাই। গণতন্ত্রের নামে যারা স্বৈরাচার কায়েম করেছে, তাদের কোনো স্থান এ দেশে হবে না। জনগণ জেগে উঠেছে, তাদের রুখে দাঁড়াবে। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।